শনিবার, ২৯ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

রংপুর বিভাগে ১৩০ অবৈধ রেলক্রসিং

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

রংপুর বিভাগের আট জেলার অবৈধ এবং অরক্ষিত রেলক্রসিংগুলো আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিভাগে ১৩০ রেলক্রসিং অবৈধ। এসব ক্রসিংয়ে না আছে কোনো গেট, না আছে গেটম্যান। ঝুঁকি নিয়ে মানুষ ও যানবাহন পারাপার হচ্ছে। রেলের লালমনিরহাট ডিভিশন সূত্রে জানা গেছে, রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চল লালমনিরহাট বিভাগের অধীনে আট জেলায় ৬৯ রেলস্টেশন রয়েছে। ট্রেন চলাচলে ৪৯২ রেলক্রসিং পাড়ি দিতে হয়। এর মধ্যে ১৩০টি অবৈধ। অনেক অরক্ষিত রেল ক্রসিংয়ে শুধু ‘সাবধান এই গেটে কোনো  গেটম্যান নাই। পথচারী ও যানবাহনের চালক নিজ দায়িত্বে পারাপার করিবেন এবং যে কোনো দুর্ঘটনার জন্য ক্ষতিপূরণ দিতে নিজে বাধ্য থাকিবেন’- এমন লেখা সাইনবোর্ড লাগিয়ে দায় এড়িয়ে গেছে। জনবল সংকটের পাশাপাশি এসব ক্রসিংয়ে চালকদের অসতর্কতার কারণে ঘটছে দুর্ঘটনা। এসব রেলক্রসিং এলজিইডির, সড়ক ও জনপথ অধিদফতর, ইউনিয়ন পরিষদ, জেলা পরিষদ ও সিটি করপোরেশনের  দেখার কথা থাকলেও বাস্তবে তা হচ্ছে না।

কিছু রেলের ট্রাফিক বিভাগ এবং কিছু ইঞ্জিনিয়ার বিভাগ দেখভাল করছে। রংপুরের কাউনিয়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনটি দুই জেলা কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটসহ রংপুর বিভাগের আট জেলার মানুষ রাজধানী ঢাকা ছাড়াও দেশের নানা জায়গায় যাতায়াত করে। প্রতিদিন কাউনিয়া রেল জংশন স্টেশন দিয়ে ১২টি আন্তনগর ট্রেন মিলে ২৪টি ট্রেন যাতায়াত করছে। এ জংশনের আওতায় সড়কে ১০টি রেলক্রসিং এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে থানা রেলক্রসিং, তকিপল হাট রেলগেট, গের্দ্দ বালাপাড়া রেলক্রসিং, খোপাতী তপসীডাঙ্গা রেলক্রসিং, পাঞ্জরভাঙ্গা রেলক্রসিং, শহীদবাগ রেলক্রসিং, বুদ্ধিরবাজার বাঁধের রাস্তা রেলক্রসিং, মহেশা রেলঘুন্টি, মৌল রেলক্রসিং ও বল্লভবিষু রেলক্রসিং। রংপুর নগরীতেও কয়েকটি রেলক্রসিং অরক্ষিত হয়ে পড়েছে। আমবাড়ি রেলক্রসিংটি অরক্ষিত থাকার কারণে পথচারীরা সবসময় আতঙ্কে থাকেন। কাউনিয়া রেলওয়ে জংশন স্টেশন মাস্টার আবদুর রশীদ জানান, প্রয়োজনীয় ৪২ জন জনবলের বিপরীতে চুক্তিভিত্তিকসহ মোট ২৬ জন দায়িত্ব পালন করছে।  এদিকে গত বুধবার সকালে নীলফামারীর দারোয়ানি রেলক্রসিং অতিক্রমের সময় চিলাহাটগামী আন্তনগর রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষে চারজন নারী নিহত হন।

 

সর্বশেষ খবর