নির্মাণশিল্পে নির্মাণশিল্পীদের দক্ষতা ও সচেতনতাকে এগিয়ে নিতে ‘শৈল্পিক নির্মাণ, রাজমিস্ত্রির অবদান’ শীর্ষক কর্মশালার আয়োজন করে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা সিমেন্ট। গতকাল সন্ধ্যায় হাতীবান্ধা ডাকবাংলোয় অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় শতাধিক রাজমিস্ত্রি অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী রাজমিস্ত্রিরা বসুন্ধরা সিমেন্ট ব্যবহার করে তাদের কাজের বাস্তব অভিজ্ঞতা ও তাদের নির্ভরতার কথা উল্লেখ করে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তারা বসুন্ধরা সিমেন্টের নানা গুণগত দিকও তুলে ধরেন। স্থাপনা নির্মাণে বসুন্ধরা সিমেন্ট নির্ভরতার প্রতীক বলে ব্যাখ্যা দেন রাজমিস্ত্রিরা। অনুষ্ঠানে স্থাপনা নির্মাণ কৌশল এবং নির্মাণ সংক্রান্ত বিভিন্ন পরামর্শ উপস্থাপন করেন প্রধান অতিথি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের হাতীবান্ধা উপজেলা প্রকৌশলী নাজির হোসেন। তিনি নির্মাণ কাজে দক্ষ কর্মীর ভূমিকা এবং উন্নতমানের সিমেন্ট ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে আলোকপাত করেন। এ ছাড়াও গুণগত মান বজায় রেখে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে বসুন্ধরা সিমেন্টের অবদান প্রসঙ্গে তিনি ভূয়সী প্রশংসা করেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জিসান এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আতাউর রহমান, আর এম ট্রেডার্সের রেজাওনুল হক, আফিফ ট্রেডার্সের আলমগীর কবিরসহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ। তারা উপস্থিত সব রাজমিস্ত্রির সঙ্গে আন্তরিক শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং বসুন্ধরা সিমেন্টের সঙ্গে তাদের দীর্ঘদিনের ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতা প্রকাশ করেন। উল্লেখ্য, বর্তমানে দেশের সবচেয়ে আইকনিক প্রকল্প পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্প, পদ্মা সেতু নদী শাসন প্রকল্প, পদ্মা সেতুর অ্যাপ্রোচ রোড, মেট্রোরেল প্রকল্প, ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলসেতু প্রকল্প, ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প, মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ প্রকল্প, পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্প, পায়রা সেতু প্রকল্প, কালনা সেতু প্রকল্প, সাসেক রোড প্রকল্প, ভুলতা ফ্লাইওভার প্রকল্প, কালশী ফ্লাইওভার প্রকল্প, রূপসা রেলসেতু প্রকল্প, রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্পের মতো বড় প্রকল্পে ব্যবহৃত হচ্ছে বসুন্ধরা সিমেন্ট। অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা সিমেন্টের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন রংপুর ডিভিশনের ডেপুটি সেলস ম্যানেজার শাহীনুর আলম, লালমনিরহাটের এরিয়া সেলস ম্যানেজার ইঞ্জিনিয়ার শফিকুর রহমান, টেকনিক্যাল সাপোর্ট এবং অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।