এক শিবরামের নাম ভাঙিয়ে চলছে রংপুর অঞ্চলের বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। রংপুর, লালমনিরহাট, গাইবান্ধায় শিবরাম নামে কমপক্ষে ২০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। প্রায় একই ধরনের নামে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হওয়ায় অভিভাবকরা তাদের সন্তানকে কোন শিবরাম স্কুলে ভর্তি করাবেন এনিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন। বিষয়টি তদারকির জন্য বেশ কয়েকজন অভিভাবক শিক্ষা অফিসের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তবে শিক্ষা অফিস বলছে এসব স্কুলের একটিরও সরকারি অনুমোদন নেই। অনুমোদন ছাড়া এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলছে। জানা গেছে, ১৯১৬ সালে গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জে শিবরাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় এ বিদ্যালয়টি তার বিশেষ বৈশিষ্ট্যের কারণে বাংলাদেশের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃতি পায়। ১৯৮৫ সালে এই প্রতিষ্ঠানের প্রধান জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হন। ২০০২ সালে বিদ্যালয়টি জাতীয় পর্যায়ে শ্র্রেষ্ঠ প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্বাচিত হয়। আবাসিক-অনাবাসিক দুই ধরনের ১ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী এখানে পাঠ গ্রহণ করছে। এই বিদ্যালয়ের সুনাম দেশের গি পেরিয়ে বিদেশেও ছড়িয়ে পড়ে। শিবরাম স্কুল সুনামকে পুঁজি করে রংপুরে কমপক্ষে ১৫টি শিবরাম স্কুল গড়ে উঠেছে। শিবরামের আগে কিংবা পরে প্রি-ক্যাডেট এই জাতীয় কিছু শব্দ ব্যবহার করে একেকজন একেকটি শিবরাম স্কুল প্রতিষ্ঠা করে শিক্ষা বাণিজ্য করছেন। ফলে কোন স্কুলের পাঠদান ভালো এটা নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়েছেন অভিভাবকরা। রংপুর ছাড়াও লালমনিরহাট ও গাইবান্ধায় শিবরামের নামে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এনিয়ে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। অভিভাবক কমল চন্দ্রসহ বেশ কয়েকজন অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এক শিবরামের নাম ভাঙিয়ে ব্যবসা করছে অনেকেই।