শুক্রবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে জনদুর্ভোগ

খন্দকার একরামুল হক সম্রাট, কুড়িগ্রাম

ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে জনদুর্ভোগ

জোড়াতালি দিয়ে চলার উপযোগী করা হয়েছে ছোট্ট রত্নাই নদীর ওপর বেইলি সেতু

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার সদরের কুলাঘাট এলাকায় রত্নাই নদীর ওপর দীর্ঘদিন আগে নির্মিত হয় বেইলি সেতু। ১৩৮ মিটার দীর্ঘ এ সেতুটি বর্তমানে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সেতুটি দিয়ে কোনো ভারি যানবাহন পারাপার হয়না। চলছে না ঢাকাগামী ডে ও নাইট কোচ। ফলে ৫০ কিলোমিটার ঘুরে ভারি যানবাহনে মালামাল পরিবহন করতে  হচ্ছে ফুলবাড়ী, নাগেশ্বরী ও ভুরুঙ্গামারী উপজেলার ব্যবসায়ীদের। এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীরা জানান, ফুলবাড়ী উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়নে ফুলবাড়ী-লালমনিরহাট সংযোগ সড়কে সাড়ে তিন বছর আগে ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় শেখ হাসিনা ধরলা সেতু। ২০১৮ সালের ৩ জুন প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতুটি চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেন। রত্নাই নদীর ওপর বেইলি সেতুটি এবং শেখ হাসিনা ধরলা সেতুটি একই সড়কে এবং দুটি দুরত্ব মাত্র এক কিলোমিটার। ফলে বেইলি সেতুর ভগ্নদশার কারণে শেখ হাসিনা সেতু দিয়েও ভারি যানবাহন কিংবা কোচগুলো চলাচল করতে দিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর মাঝখানে কোনোমতে লোহার পাত দিয়ে আটকে দেওয়া হয়েছে। এর ওপর দিয়ে বহু কষ্টে মোটরসাইকেলসহ ছোট যানবাহন ও পথচারীর চলাচল করছেন। পণ্যবাহী ও ঢাকাগামী কোচগুলো আগের মতোই অন্যপথে প্রায় ৫০ কিলোমিটার ঘুরে কুড়িগ্রাম জেলা শহর হয়ে চলছে দেশের বিভিন্ন এলাকায়। এ অবস্থায় ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ পড়েছেন ভোগান্তিতে। জাহাঙ্গীর আলম নামে একজন ব্যবসায়ী বলেন, বেইলি ব্রিজটি অত্যন্ত পুরনো ও জরাজীর্ণ। এটি নতুন করে নির্মাণ না হওয়ায় শেখ হাসিনা ধরলা সেতুর সুফল থেকে আমরা বঞ্চিত হচ্ছি। ঢাকা, রংপুর ও লালমনিরহাট জেলা শহর থেকে পণ্য আনা-নেওয়া করতে পারছি না। ফুলবাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানী সরকার বলেন, কুলাঘাটে রত্নাই নদীর ওপর বেইলি ব্রিজটি পুনঃনির্মাণ করা অত্যন্ত জরুরি। বারবার লালমনিরহাট সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগকে নির্মাণে অনুরোধ জানানো হয়েছে। আশা করছি কর্তৃপক্ষ দ্রুত উদ্যোগ নেবেন। লালমনিরহাট সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী খালিদ সাইফুল্লা সরদার বলেন, আমরা ইতোমধ্যে রত্নাই নদীর ওপর ১৩৮ মিটার সেতু নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাবনা পাঠিয়েছে এবং তা অনুমোদনও হয়েছে। আশা করি আগামী অর্থবছরে সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু করা যাবে।

সর্বশেষ খবর