মঙ্গলবার, ৮ মার্চ, ২০২২ ০০:০০ টা

পোশাককর্মী খুনের রহস্য উদ্ঘাটন

গাজীপুর প্রতিনিধি

গলায় ওড়না পেঁচানো এক পোশাককর্মীর লাশ তালাবদ্ধ ঘর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে নিহতের স্বামীকে সোমবার গ্রেফতার করা হয়েছে। দাম্পত্য কলহের জেরে এ খুন বলে পুলিশ জানিয়েছে। ক্লুলেস এ ঘটনার প্রায় ১০ ঘণ্টার মধ্যে রহস্য উদ্ঘাটন করেছে বাসন থানা পুলিশ। নিহতের নাম মমতাজ খাতুন ওরফে মিতা (৩৩)। তিনি রাজশাহীর বাঘমারা উপজেলার নথপাড়ার আবদুল মোতালেবের মেয়ে। গ্রেফতার রফিকুল ইসলাম (৪১) নেত্রকোনা সদর উপজেলার রৌহা এলাকার আবদুল বারেকের ছেলে। তিনি শ্রীপুরের মাওনা চৌরাস্তায় পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) বাসন থানার ওসি মালেক খসরু খান সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

জানান, গাজীপুরে পোশাক কারখানায় চাকরির সুবাদে রফিকুল ইসলাম ও মিতার মধ্যে পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দুই বছর আগে তারা বিয়ে করেন। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে বনিবনা না হওয়ায় তারা আলাদা বাস করতেন। বাসন থানার ইটাহাটায় ভাড়া বাসায় একা থেকে স্থানীয় ভোগড়ার জিম অ্যান্ড জেসি গার্মেন্ট কারখানায় কোয়ালিটি ইনচার্জ হিসেবে চাকরি করতেন মিতা। রবিবার রাত ৯টার দিকে প্রতিবেশীদের সংবাদের ভিত্তিতে ওই বাসার তালাবদ্ধ কক্ষ থেকে গলায় ওড়না পেঁচানো মিতার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় নিহতের মামা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। তিনি জানান, পুলিশ ক্লুলেস এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রফিকুল ইসলামকে গতকাল নেত্রকোনা থেকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তিনি দাম্পত্য কলহের জেরে স্ত্রীকে রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গলা টিপে ও ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার কথা স্বীকার করেন। হত্যার পর লাশ ঘরের মেঝেতে ফেলে রেখে দরজা তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যান। রফিককে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

সর্বশেষ খবর