দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আগের চেয়ে পিঁয়াজের আমদানি বাড়ায় দেশের বাজারে চাহিদার তুলনায় পণ্যটির সরবরাহ বেড়েছে। এতে করে সপ্তাহের ব্যবধানে প্রকারভেদে কেজিতে ১৫ টাকা কমেছে। আগে ৫০ থেকে ৫২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও তা কমে ৩০ থেকে ৩২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। খুশি বন্দরে পিঁয়াজ কিনতে আসা পাইকারসহ নিম্ন আয়ের মানুষ। সামনের দিনে পিঁয়াজের দাম আরও কমবে বলে জানান আমদানিকারকরা। হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বন্দরে ইন্দোর জাতের পিঁয়াজ আগে ৩২ টাকা কেজি বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে ২৫ থেকে ২৭ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। নাসিক জাতের পিঁয়াজ ২৯ থেকে ৩০ টাকা, গুজরাট জাতের পিঁয়াজ ৩২ টাকা, নগর জাতের পিঁয়াজ ৩২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে যা আগে ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল। একইভাবে হিলির কাঁচাবাজারেও খুচরায় সব ধরনের পিঁয়াজের দাম কমেছে। হিলি বাজারে পিঁয়াজ কিনতে আসা আমিনুল ইসলাম বলেন, বাজারে প্রতিদিনই সব জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, তাতে করে আমাদের মতো খেটে খাওয়া মানুষকে চরম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। তবে গত তিন-চার দিন আগে হিলি বাজারে পিঁয়াজ ক্রয় করেছি ৪৫ টাকা কেজিতে। সে পিঁয়াজের দাম গতকাল কেজিতে ১৫ টাকা কমে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এতে করে আমাদের জন্য সুবিধা হয়েছে। আমরা কম দামে খেতে পারছি। এমন দাম থাকলেই আমাদের জন্য ভালো। আগে দাম বাড়তির কারণে যে পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছিলাম এখন প্রয়োজন মতো কিনতে পারছি। একে তো কাজ-কর্ম তেমন নেই, এর ওপর সামনে রমজান মাস আসছে। তাই পিঁয়াজের দাম কম থাকলেই আমাদের জন্য ভালো হয়, দাম বাড়লে কষ্ট হয়। হিলি বাজারের পিঁয়াজ বিক্রেতা মনিরুল আলম বলেন, আসলে এক সপ্তাহ আগে বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পিঁয়াজ আমদানির পরিমাণ কম ছিল, যার কারণে পিঁয়াজের দামটা একটু বেশি ছিল। সে সময় আমরা ৩৪ থেকে ৩৬ টাকা বিক্রি করেছি। বর্তমানে আমদানি বাড়ার কারণে বাজারে সরবরাহ বাড়ায় তা কমে এখন বিক্রি করছি ৩০ থেকে ৩২ টাকা করে। আগামীতে আরও যদি আমদানি বাড়ে তাহলে দাম আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে। একইভাবে দেশীয় পিঁয়াজের দাম আগের তুলনায় কমেছে। হিলি স্থলবন্দরে পিঁয়াজ কিনতে আসা আইয়ুব হোসেন বলেন, বাজারে দেশীয় পিঁয়াজের সরবরাহ কম ও দাম বাড়ার কারণে মোকামগুলোতে ভারতীয় পিঁয়াজের চাহিদা বেড়েছে। যার কারণে আমরা হিলি স্থলবন্দর থেকে পিঁয়াজ ক্রয় করে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করছি। আগে বন্দর দিয়ে পিঁয়াজের আমদানি কম হওয়ায় দাম বাড়তির দিকে ছিল এখন আমদানি বাড়ার কারণে দাম কমতির দিকে রয়েছে। এতে করে আমরা যেমন কম দামে কিনে মোকামে পাঠাতে পারছি তেমনি মানুষ কমদামে খেতে পারছে।