শনিবার, ১২ মার্চ, ২০২২ ০০:০০ টা

তেঁতুলিয়ায় পাথর তোলায় নিষেধ

পঞ্চগড় প্রতিনিধি

তেঁতুলিয়ায় পাথর তোলায় নিষেধ

ভারতে উৎপত্তি হয়ে বাংলাদেশের সীমান্ত দিয়ে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১৮ কিলোমিটার প্রবাহিত হয়েছে সীমান্ত নদী মহানন্দা। মহানন্দার স্রোতে ভেসে আসা নুড়ি পাথর এবং বালি তোলায় এলাকার প্রায় ৫০ হাজার শ্রমিক জীবিকা নির্বাহ করছেন। কিন্তু অসাধু ব্যবসায়ীদের অপরিকল্পিতভাবে পাথর তোলার ফলে পর্যটনকেন্দ্রিক গড়ে ওঠা কিছু নান্দনিক স্থাপনা এবং নদীর তীর ভেঙে যাচ্ছিল। বদলে যাচ্ছিল নদীর গতিপথ। এ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে সম্প্রতি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও নদীর তীর সংরক্ষণের স্বার্থে মহানন্দার পাঁচ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে পাথর তোলা বন্ধ ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন। গত ৮ মার্চ একটি চিঠির মাধ্যমে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করে উপজেলা প্রশাসন। এতে বেকার হয়ে পড়েছে কিছু শ্রমিক ও ব্যবসায়ী। তারা পাথর উত্তোলনের দাবি তুলেছেন। এ নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, মহানন্দার তীরবর্তী এলাকায় পাথর উত্তোলনের ফলে পুরনো ডাকবাংলো ভবন, পিকনিক কর্ণার, কেন্দ্রীয় গোরস্থান, কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দান, তেঁতুলিয়া থানা ভবন, পুরাতন বাজার, শিব মন্দিরসহ প্রায় ৭০০ একর আবাদি জমি ভেঙে নদীর সঙ্গে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।  ডাকবাংলো থেকে পুরাতন বাজার পর্যন্ত পাঁচ কি.মি. এলাকায় নদীর তীর সংরক্ষণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সিসি ব্লক নির্মাণ বাঁধটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে হুমকির মুখে পড়েছে। এভাবে অপরিকল্পিত পাথর উত্তোলন চলতে থাকলে মহানন্দা নদীতে ভাঙন সৃষ্টি হবে। অদূর ভবিষ্যতে মূল শহরও হুমকির মুখে পড়বে। অনদিকে নদী হারিয়ে ফেলছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। সীমান্ত নদী হওয়ায় এ নদীর তীর রক্ষা করার জন্য বিজিবির গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা রয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের অভিযোগ- পাথর উত্তোলন বন্ধের নির্দেশনার চিঠি সরাসরি পাঠানো হলেও অদৃশ্য কারণে গ্রহণ করেননি বিজিবি তেঁতুলিয়া কোম্পানি সদর। পরে হোয়াটসঅ্যাপে ম্যাসেজ দেওয়া হয়। বিজিবি বলছে, এখনো তারা কোনো চিঠি পাননি।

সর্বশেষ খবর