বৃহস্পতিবার, ১৭ মার্চ, ২০২২ ০০:০০ টা

হিলিতে পিঁয়াজের কেজি ২০ টাকা

আমদানি অব্যাহত

হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

হিলিতে পিঁয়াজের কেজি ২০ টাকা

বেশ কয়েক দিন ধরে পিঁয়াজের দাম বাড়তে বাড়তে হাফ সেঞ্চুরি পার করার পর দাম নিম্নমুখী অবস্থায় রয়েছে। হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পিঁয়াজের আমদানি বাড়তি থাকায় দাম কমতির দিকে রয়েছে। বর্তমানে বন্দরে পাইকারিতে প্রতি কেজি পিঁয়াজ প্রকারভেদে ২০ থেকে ২৬ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। যা দুদিন আগে ২৪ থেকে ২৮ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছিল। এদিকে খুচরা বাজারেও পিঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। পিঁয়াজের দাম কমায় খুশি বন্দরে পিঁয়াজ কিনতে আসা পাইকারসহ নিম্ন আয়ের মানুষজন। স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বন্দর দিয়ে ইন্দোর, নাসিক, গুজরাট, নগর জাতের পিঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। বন্দরে ইন্দোর জাতের প্রতি কেজি পিঁয়াজ (ট্রাকসেল) ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে যা আগে ২৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল। এ ছাড়া নাসিক, গুজরাট, নগর জাতের পিঁয়াজ ২৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে যা আগে ২৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল। এদিকে হিলির খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ভারতীয় পিঁয়াজ ১৬ থেকে ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে আর দেশীয় পিঁয়াজ ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে যা আগে বাড়তি দামে বিক্রি হয়েছিল। হিলি বাজারে পিঁয়াজ কিনতে আসা নুরুল ইসলাম বলেন, বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সব পণ্যের দাম বেশি হওয়ায় আমাদের মতো সাধারণ মানুষদের বাজারের ব্যয়ভার মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এর ওপর পিঁয়াজের দাম বেড়ে ৫০ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছিল। এখন অবশ্য অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে দিন দিন দাম কমতে শুরু করেছে। দুদিন আগে যে পিঁয়াজ ২৫-২৬ টাকা ছিল আজ সেই পিঁয়াজ কিনলাম ১৬-১৮ টাকা কেজি দরে। দাম অনেকটা কমে আসায় আমাদের মতো মানুষের সুবিধা হয়েছে। দাম এমন থাকলে সুবিধা হয় আর সামনে যেহেতু রমজান সে সময় দাম এমন থাকলে ভালো হবে। হিলি বাজারের পিঁয়াজ বিক্রেতা মনিরুল আলম বলেন, আগে চাহিদা থাকলেও বন্দর দিয়ে আমদানি কম থাকায় দেশের বাজারে পিঁয়াজের দাম বাড়তির দিকে ছিল। এখন বন্দর দিয়ে প্রচুর পিঁয়াজ আমদানি হচ্ছে, এতে দাম কমতে কমতে নিম্ন পর্যায়ে নেমেছে। আর আমাদের হিলি বাজারে যেসব পিঁয়াজ বিক্রি হয় তা মুলত বন্দরের ব্যালেন্স পিঁয়াজ যার কারণে এর দাম তুলনামূলক একটু কম থাকে। এ ছাড়া দেশীয় পিঁয়াজের দাম আগের তুলনায় একটু কম রয়েছে। স্থলবন্দরে পিঁয়াজ কিনতে আসা পাইকার আনোয়ার হোসেন বলেন, দেশীয় পিঁয়াজের সরবরাহ কম থাকার কারণে মোকামগুলোতে ভারতীয় পিঁয়াজের চাহিদা বেড়েছে। তাই আমরা হিলি স্থলবন্দর থেকে পিঁয়াজ কিনে দেশের বিভিন্ন মোকামে পাঠাচ্ছি। আগে বন্দর দিয়ে পিঁয়াজ আমদানি কম হওয়ায় দাম বেশি ছিল, যার কারণে আমাদের বাড়তি দামে কিনতেও অসুবিধা হচ্ছিল। তবে এখন দিন দিন দাম কমের দিকে রয়েছে। এখন ২০ টাকায় নেমেছে পিঁয়াজের দাম। এতে করে আমাদের কিনতে যেমন সুবিধা হয়েছে, তেমনি মোকামগুলোতে মানুষ কম দামে পিঁয়াজ কিনতে পারছে। হিলি স্থলবন্দরের পিঁয়াজ ব্যবসায়ী সেলিম হোসেন বলেন, বাজারে দেশীয় পিঁয়াজ সরবরাহ কমার কারণে দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়ে যায়। তাই দেশের বাজারে পিঁয়াজ সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে বন্দর দিয়ে পিঁয়াজ আমদানি বাড়িয়ে দিয়েছেন বন্দরের আমদানিকারকরা।

 

সর্বশেষ খবর