শনিবার, ২ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা
রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল

চিকিৎসক সংকটে ব্যাহত স্বাস্থ্যসেবা

দেবাশীষ বিশ্বাস, রাজবাড়ী

চিকিৎসক সংকটে ব্যাহত স্বাস্থ্যসেবা

হাসপাতালের বহির্বিভাগে রোগীর ভিড় -বাংলাদেশ প্রতিদিন

রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে চিকিৎসক সংকটে স্বাস্থ্যসেবায় দূরবস্থা দেখা দিয়েছে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন জেলার প্রায় ১১ লাখ মানুষ। সূত্র জানায়, রাজবাড়ী ১০০ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসকের পদ রয়েছে ৪২টি। এসব পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন মাত্র ২৬ জন। ১৬টি শূন্য পদ পূরণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, এখানে প্রতিদিন ১ হাজার রোগী আউটডোরে এবং শতাধিক রোগী ইনডোরে চিকিৎসা নেন। কিন্তু হাসপাতালে চিকিৎসক সংকটের পাশাপাশি পরিছন্নতা কর্মীর সংকট রয়েছে। আটটি পদের বিপরীতে পরিছন্নতা কর্মী আছেন ছয়জন। দৈনিক প্রায় ১ হাজার রোগীর চাপে হাসপাতালের বেশির ভাগ জায়গা থাকে অপরিচ্ছন্ন। গত বৃহস্পতিবার সরেজমিন দেখা যায়, হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে রোগীর ভিড়। বহির্বিভাগের অবস্থাও একই রকম। হাসপাতালে সংবাদ সংগ্রহের সময়েই চলে যায় বিদ্যুৎ। বেশির ভাগ স্থান ঢেকে যায় অন্ধকারে। কখন বিদ্যুৎ আসবে বলতে পারছে না কেউ। নেই জেনারেটরের ব্যবস্থা। তীব্র গরমে ছটফট করছে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা। হাসপাতালের বিভিন্ন জায়গার রয়েছে ময়লার স্তূপ। ড্রেনের দুগর্ন্ধ আসছে ওয়ার্ড পর্যন্ত। টয়লেটগুলোও ব্যবহার অনুপযোগী। মহিলা ওয়ার্ডে দেখা যায়, শয্যা না পেয়ে একাধিক রোগী মেঝেতে রয়েছেন। বিদ্যুৎ না থাকায় সার্জারি ওয়ার্ডে এক রোগীকে মোবাইলের লাইট জ্বালিয়ে ইনজেকশন দিচ্ছেন কর্তব্যরত সেবিকা। ঝর্ণা নামে এক রোগী বলেন, দুই দিন আগে এখানে ভর্তি হয়েছি। এখনো বেড পাইনি। বেশির ভাগ ওষুধ বাইরের দোকান থেকে কিনতে হয়। অনেক সময় বিদ্যুৎ থাকে না। আমাদের কষ্ট হয়। তাছাড়া রাজবাড়ীতে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের পার্শ্ববর্তী হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়- এমন অভিযোগ পুরাতন। হাসপাতালে মিলছে না রোগীদের চাহিদা মতো ওষুধ। সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শেখ মোহাম্মদ আবদুল হান্নান বলেন, আমাদের জনবল সংকট রয়েছে। বিশেষ করে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী খুবই দরকার। ডাক্তারদের সিরিয়াল মেইনটেইন করা ও পরিচ্ছন্নতার জন্যও জনবল প্রয়োজন। আমি নতুন যোগদান করেছি। সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধানের চেষ্টা করা হবে। রাজবাড়ীর সিভিল সার্জন ডা. ইব্রাহিম টিটন বলেন, সদর হাসপাতালে জেনারেটরের ব্যবস্থা নেই। তবে বিদ্যুৎ গিয়ে বেশি সময় থাকার কথা না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। অন্য সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব।

সর্বশেষ খবর