শনিবার, ২ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

পাহাড়ি গ্রামে বিশুদ্ধ পানির সংকট

নেত্রকোনা প্রতিনিধি

পাহাড়ি গ্রামে বিশুদ্ধ পানির সংকট

কলমাকান্দা উপজেলার পাহাড়ি গ্রামগুলোয় বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। পাহাড়ি ছড়ার (নালা) ময়লাযুক্ত ঘোলা পানি অথবা টিলার নিচে তিন চাকের (চাক্কি) তৈরি অগভীর কূপের ময়লা পানিই হয়ে উঠেছে তাদের একমাত্র ভরসা। উপজেলার লেংগুরা, খারনৈ ও রংছাতি ইউনিয়নের অন্তত ৪০টি গ্রামে চলছে পানি সংকট। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী অধ্যুষিত এ গ্রামের বাসিন্দারা জানান, গভীর নলকূপ না থাকায় বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। শুধু এবার নয়, প্রতি বছর শুষ্ক মৌসুমে এমন সংকট দেখা দেয়। জানা যায়, এলাকার সচ্ছল লোকজন প্রয়োজনমতো একাধিক নলকূপ বসিয়ে পানি সংকট মেটান। কিন্তু হতদরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত পরিবারগুলোর দুর্ভোগের শেষ থাকে না। কলমাকান্দা উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম জানান, তাঁরা লেংগুরা ইউনিয়নের পাহাড়ি অঞ্চলে বেশ কিছু গভীর কুয়া সরকারিভাবে তৈরি করে দিয়েছেন। স্থানীয়দের দাবি, অধিকাংশ কুয়া নির্মাণের চার থেকে ছয় মাসের মধ্যেই অকেজো হয়ে পড়েছে।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, শুধু এক বা একাধিক বাড়িতেই নয়, অনেক পাড়ায়ই কোনো বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা নেই। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় অগভীর নলকূপগুলোয় পানি উঠছে না। অনেকে দূর থেকে খাবার পানি সংগ্রহ করছেন। আবার বেশির ভাগ পরিবার ব্যবহার করছে কুয়া অথবা ছড়ার নোংরা পানি। সন্ন্যাসীপাড়ার জ্যোৎস্না রেমা ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, ‘৫০ বছরেও বিশুদ্ধ পানি পান করতে পারলাম না।’ চন্দ্রডিঙ্গা গ্রামের রাজরানী বলেন, ‘দিনে দু-তিন বার প্রায় দেড় কিলোমিটার হেঁটে পাহাড়ের ছড়ার পাশে গর্ত করে খাবার পানি সংগ্রহ করতে হয়। এ পানি দিয়ে খাবারসহ প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতে হয় আমাদের।’ কলমাকান্দা উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ওই অঞ্চলে পাথরের জন্য টিউবওয়েল বসানো সম্ভব হয় না। তবে বেশকিছু রিংওয়েল বসানো হয়েছে। এখনো ১০টি রিংওয়েল বসানোর কাজ চলছে।’

সর্বশেষ খবর