রবিবার, ৩ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

অবকাঠামো যন্ত্রপাতি সবই আছে, নেই শুধু জনবল

গৌতমাশিস গুহ সরকার, গাইবান্ধা

অবকাঠামো যন্ত্রপাতি সবই আছে, নেই শুধু জনবল

আঞ্চলিক প্রাণিরোগ গবেষণাগার

রংপুর বিভাগের পাঁচ জেলার জন্য গাইবান্ধা শহরে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল ‘আঞ্চলিক প্রাণিরোগ অনুসন্ধান গবেষণাগার’ (এফডিআইএল)। রংপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও নীলফামারীর প্রাণিরোগ অনুসন্ধান ও গবেষণার জন্য কাজ করার কথা এই প্রতিষ্ঠানের। অবকাঠামো, আসবাবপত্র, আধুনিক যন্ত্রপাতি সবই আছে এখানে। শুধু জনবল না থাকায় এটি পরিণত হচ্ছে অকার্যকর প্রতিষ্ঠানে। এফডিআইএল সূত্র জানায়, আঞ্চলিক এ অনুসন্ধান গবেষণাগারে মোট জনবল থাকার কথা ১১ জন। এর মধ্যে মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ১, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ১, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ২, ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান ৫, অফিস সহকারী ১ ও ঝাড়ুদার ১ জন। গুরুত্বপূর্ণ এই প্রতিষ্ঠানটি এক বছর ধরে পড়ে আছে কর্মিশূন্য অবস্থায়। গত ১৫ মার্চ একজন ল্যবরেটরি টেকনিশিয়ানকে এখানে পোস্টিং দেওয়া হয়েছে। আর পার্শ্ববর্তী ‘ইনস্টিটিউট অব লাইভ স্টক সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির’ (আইএলএসটি) চিফ ইনসট্রাক্টরকে দিয়ে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার কাজ চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। পলাশবাড়ী উপজেলার মনোহরপুরের খামরি বিপ্লব ইসলাম বলেন, রোগজনিত কারণে কোনো পশুর মৃত্যু হলে তার কারণ নির্ণয় না করলে এলাকার অন্য পশুরও আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। আবার রোগের কারণ নির্ণয় করে পশু চিকিৎসককে ওষুধ দিতেও ল্যাবের রিপোর্ট জরুরি। প্রচার না থাকায় যেমন খামারিরা এই কেন্দ্রে আসেন না তেমনি জনবল না থাকায় এখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষাও হয় না। আমরা হাট-বাজারের পশুর ওষুধের দোকানি বা হাতুড়ে চিকিৎসকের পরামর্শে পশু পাখিকে ওষুধপত্র দিয়ে থাকি। তাতে কখনো কাজ হয় কখনো হয় না। আইএলএসটির মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ডা. আবদুল হাই বলেন, এখানে গুরুত্বপূর্ণ পদে ছয় বছরের বেশি সময় ধরে লোকজন নেই।

সর্বশেষ খবর