শনিবার, ৯ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

শ্রীমঙ্গলে বেগুনের বাম্পার ফলন

শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি

শ্রীমঙ্গলে বেগুনের বাম্পার ফলন

দেখতে আপেলের মতো গোলাকার, তাই জাতের নাম আপেল বেগুন। একইভাবে দেখতে ডাবের মতো তাই জাতের নাম দেওয়া হয়েছে ডাব বেগুন। বেগুনের এ দুটি জাতই দেশীয় উচ্চফলনশীল। এ জাতের বীজ সংগ্রহ করা হয়েছে নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলা থেকে। এবারই প্রথম এ জাতের বেগুন চাষ করেছেন শ্রীমঙ্গল উপজেলার কৃষকরা। চলতি খরিপ-১ মৌসুমে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বেগুনের এ নতুন দুটি জাত কৃষকদের দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করানো হয়েছে। ১২ জন কৃষক ২০ শতক করে প্রায় এক হেক্টর জমিতে আপেল ও ডাব বেগুন চাষ করেছেন। প্রথম চাষেই হয়েছে বাম্পার ফলন। মাঠে এখন গাছে গাছে ঝুলছে বেগুন। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ দুই জাতের বেগুন গাছে পোকামাকড় বা রোগবালাই কম হয়। গাছে টানা চার মাস ফসল ধরে। ফলের রং লালছে বেগুনি। খুবই নরম। একেকটি বেগুনের ওজন হয় ৭০০-১০০০ গ্রাম। এ জাতের বীজ রোপণ করতে হয় কার্তিক মাসে। ৬০ দিন পর পৌষ মাসে গাছে ফুল ও ফল অসতে শুরু করে। মাঘ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে ফল বিক্রি উপযোগী হয়।

সরেজমিন উপজেলার খলিলপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, এক থেকে দেড় ফুট লম্বা গাছে গাছে বেগুন ঝুলে আছে। কোনো গাছের বেগুন ডাব আকৃতির, কোনো গাছে আপেলের মতো গোলাকার। বেগুনের রং খুবই আকর্ষণীয়। ফলনও ভালো হয়েছে। সবকটি প্লটেই বেগুন চাষ করা হয়েছে রাসায়নিক সার ছাড়া। প্রয়োজনে শুধু জৈব সার ও জৈব বালাইনাশক দেওয়া হয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফার ইয়াসমিন মোনালিসা সুইটি বলেন, এ জাত দুটি হাইব্রিড নয়। দেশীয় উচ্চফলনশীল। কৃষক নিজেরাই বীজ রাখতে পারবেন। আমরা ১২টি প্রদর্শনী প্লট থেকেই কৃষকদের বীজ সংগ্রহ করতে বলেছি। যেহেতু এ জাতের বেগুন চাষ করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। তাই উপজেলার নয়টি ইউনিয়নের কৃষকদের মধ্যে এর আবাদ ছড়িয়ে দিতে চাই।

 

সর্বশেষ খবর