শিরোনাম
সোমবার, ১১ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

ঝুঁকিতে অরুয়াইল-সরাইল সড়ক

মোশাররফ হোসেন বেলাল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ঝুঁকিতে অরুয়াইল-সরাইল সড়ক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল-অরুয়াইল সড়কটি দীর্ঘ ১৪ কিলোমিটার। ৩০ গ্রামের মানুষের জেলা সদরে যাওয়ার একমাত্র সড়ক এটি। সড়কটি চুন্টা ঘাগড়াজুর থেকে ভুইশ্বর পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটারের অবস্থা খুবই বেহাল। ওই অংশটুকু সংস্কারের অভাবে মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। বর্ষার আগে সংস্কার না হলে সড়কটির ওই অংশ হাওরে বিলীন হতে পারে। তখন ওই হাওর এলাকার ২ লাখ মানুষ পড়বে চরম দুর্ভোগে। গত বর্ষার ঢেউয়ের আঘাতে ঘাগড়াজুর থেকে ভুইশ্বর বাজার পর্যন্ত সড়কের অর্ধেকাংশ ভেঙে বিলীন হওয়ায় যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। সংস্কার করা না হলে আসন্ন বর্ষায় সড়কের বাকি অংশও বিলীনের আশঙ্কা রয়েছে। সড়কটি সরাইল ও নাসিরনগর উপজেলার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ৩০ গ্রামের মানুষের জেলা শহরে যাওয়ার একমাত্র সড়ক।

সরেজমিন দেখা যায়, ভুইশ্বর বাজারের দক্ষিণ পাশে একটি ট্রাক্টর কিছু মালামালসহ উল্টে পড়ে আছে। চালক ও তার সহকারী কোনোভাবে বেঁচে গেলেও তারা আহত হয়েছেন। এর কয়েক গজ দূরেই একটি পিকআপ আটকে আছে সড়কে। পিকআপটিকে সরানোর চেষ্টা করছেন চালক, সহকারী ও স্থানীয় কয়েকজন। সরাইল যাওয়ার পথে সালাম নামের এক সিএনজি যাত্রী আক্ষেপ করে বলেন, আকাশের যে অবস্থা মনে হয় আজকে বৃষ্টি হলে বিকাল থেকে গাড়ি চলাচল একেবারে বন্ধ হয়ে যাবে। কারণ বৃষ্টি হলে এ রাস্তায় হাঁটু পরিমাণ কাদা থাকে। অরুয়াইল বাজারের পল্লী চিকিৎসক রাকেশ দাস বলেন, বিকালে তীর্থ ভ্রমণের জন্য সিলেট যামু। কেমনে যামু চিন্তা করতাছি। সিএনজিতে উঠলে ভয় করে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, সরাইলের উত্তরে হাওর বেষ্টিত এলাকায় ১১ বছর আগে নির্মাণ করা হয়েছিল সরাইল থেকে অরুয়াইল পর্যন্ত সড়কটির। উপজেলা সদরের হাসপাতাল মোড় থেকে অরুয়াইল বাজার পর্যন্ত এ সড়কের দৈর্ঘ্য ১৪ কিলোমিটার ও প্রস্থ ১২ ফুট। ওই পাকা সড়কটি নির্মাণের ফলে উপজেলার চুন্টা, পাকশিমুল ও অরুয়াইল ইউনিয়ন এবং নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ও কু া ইউনিয়নের ২ লক্ষাধিক মানুষের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু সড়কটি নির্মাণের পর থেকে প্রয়োজনীয় তদারকি ও সংস্কারের অভাবে বেহাল হয়ে যায়। গত বছরের জুন মাসে ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে সড়কটির সাড়ে ১১ কিলোমিটার অংশের সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয়। বাকি ছিল চুন্টা ইউনিয়নের ঘাগড়াজুর থেকে পাকশিমুল ইউনিয়নের ভুইশ্বর বাজার পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার অংশটি। অরুয়াইল ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, সড়কটিতে ছোট-বড় গর্ত থাকায় প্রায় প্রতিদিনই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে এলাকাবাসী। সন্ধ্যার পর ওই সড়কে যাতায়াত করা একেবারেই অসম্ভব হয়ে পড়ে। উপজেলা এলজিইডির সহকারী প্রকৌশলী মাসুদুর রহমানের মুঠোফোন একাধিকবার ফোন দিলে অন্য আরেকজন রিভিস করে বলেন, উনি বাসায় ফোন রেখে বাজারে গেছেন।

সর্বশেষ খবর