সোমবার, ১১ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

বন্দিদের ইফতারে ৯ পদ

মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম

বন্দিদের ইফতারে ৯ পদ

প্রায় সাত হাজার মানুষের ইফতারি আয়োজনের এক কর্মযজ্ঞ। কেউ ব্যস্ত ছোলা পিঁয়াজু তৈরিতে। কেউ ব্যস্ত খেজুর, কলা, ডিম পরিষ্কার করে খাবার উপযোগী করার। সকাল থেকে ইফতারের আগ পর্যন্ত চলে এ মহাযজ্ঞ। কেউ ফুরসত পান না দম ফেলার। সবাই ব্যস্ত বন্দিদের জন্য ইফতার তৈরিতে। প্রথম রোজা থেকেই এমন দৃশ্য দেখা মিলছে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে। চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার দেওয়ান মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিদিন বন্দিদের সাড়ে ৩৮ টাকার ইফতারি সরবরাহ করা হয়। ইফতারিতে প্রতিদিন নয় পদের খাবার থাকে। এরই বাইরে বন্দিদের জন্য বরাদ্দকৃত দুপুরের খাবার রাতে এবং রাতের খাবার সাহরিতে সরবারহ করা হয়।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এবার খাদ্য সরবরাহকারী ঠিকাদার চিনি, তেল, ডিমসহ অন্যান্য জিনিসপত্র বাজার ধরের চেয়ে কম দামে সরবরাহ করছেন। বন্দিদের জন্য বরাদ্দের মধ্যে বেশি খাবার পাওয়া যাচ্ছে। তাই বেশি পরিমাণ সরবরাহও করা যাচ্ছে।’ জানা যায়, প্রতিদিন কারাগারের ২৮টি চুলায় রান্না হয় প্রায় সাত হাজার বন্দির ইফতারে। যার মধ্যে ছোলা, পিঁয়াজু, জিলাপি তৈরি হয় কারাগারের চুলায়। ডিম সিদ্ধও করা হয় কারাগারের চুলায়। বাকি পাঁচ পদ খাবার বাইরের বাজার থেকে সংগ্রহ করা হয়। কারাগারের চুলায় ইফতারি তৈরি করার পর ইফতারের আগে আগে তা বন্দিদের মধ্যে সরবরাহ করা হয়। বন্দিদের ইফতারির তালিকায় থাকা খাবারের মধ্যে রয়েছে- ছোলা ৭০ গ্রাম, মুড়ি পরিমাণ মতো, পিঁয়াজু দুটি, খেজুর তিনটি, জিলাপি ৭০ গ্রাম, চিঁড়া, কলা, ডিম এবং চিনি। চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারগারে রোজাদার বন্দিদের কেউ দ প্রাপ্ত, কেউ আবার মামলা বিচারাধীন অবস্থায় বন্দি রয়েছেন কারাগারে। তাদের মধ্যে রবিবার জামিনে মুক্তি পাওয়া কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয় কারা ফটকে। তারা জানান, নানা কষ্ট বুকে নিয়েই কারাগারে বন্দিজীবন কেটেছে তাদের। সবাই চায় নিজের পরিবার পরিজন নিয়ে ইফতার করতে। কিন্তু বন্দি থাকার কারণে তা সম্ভব ছিল না। তাই সেলে থাকা অন্য বন্দিদের নিজের আপনজন মনে করেই একসঙ্গে ইফতার করে বেশিরভাগ বন্দি। সেলে থাকা বন্দিদের আট থেকে ১০ জন মিলে কারা কর্তৃপক্ষ থেকে সরবরাহ করা ইফতার একসঙ্গে জড়ো করে। পরে তাই সবাই একসঙ্গে ইফতার করে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর