বুধবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

খোলা আকাশের নিচে ২০০ পরিবার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

খোলা আকাশের নিচে ২০০ পরিবার

নাসিরনগর উপজেলার ভলাকুট গ্রামের স্বামী হারানো ষাটোর্ধ্ব রাশেদার থাকার একমাত্র ঘরটি বিধ্বস্ত হয়েছে কালবৈশাখী ঝড়ে। এখন খোলা আকাশের নিচে ঘরের ধ্বংসাবশেষের পাশে বসে শুধুই বিলাপ করছেন। কোথায় থাকবেন, কীভাবে চলবেন সে দুশ্চিন্তা ভর করেছে তাঁকে। রাশেদার মতো এমন অনিশ্চয়তায় পড়েছেন আরও অনেকেই। সোমবার ভোররাত থেকে সকাল পর্যন্ত ভলাকুট ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে অন্তত ২০০ পরিবার মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়েছে। তারা সবাই এখন খোলা আকাশে নিচে মানবেতর অবস্থায় আছে। ভলাকুট ইউপি চেয়ারম্যান রুবেল মিয়া বলেন, ‘ভোররাত ৩টায় কালবৈশাখী ঝড় শুরু হয়। সকাল পর্যন্ত চলা ঝড়ে ইউনিয়নের ভলাকুট, দুর্গাপুর, কঠুই, খাগালিয়া, বালিখোলাসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের ২ শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়। পাশাপাশি ভলাকুট ইউনিয়ন পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয়, মসজিদ, মাদরাসাও ল-ভ- হয়ে যায়। ভেঙে পড়ে অসংখ্য গাছ ও বিদ্যুতের কয়েকটি খুঁটি। অনেকের ঘরেই খাবার নেই।’ ভলাকুট গ্রামের বাসিন্দা রেশম বেগম বলেন, ‘মাঝরাতে হঠাৎ দেখি ঘরের চালা উড়ে যাচ্ছে। গোয়ালের গরু-বাছুরগুলোও উড়িয়ে নিচ্ছে কালবৈশাখী ঝড়। সবকিছু হারিয়ে এখন খোলা আকাশের নিচে মানবেতর অবস্থায় আছি।’ আরেক ক্ষতিগ্রস্ত মাহমুদা বেগম বলেন, ‘ঝড় আমাদের ছোট্ট টিনের ঘরটি উড়িয়ে নিয়ে গেছে। বিধ্বস্ত ঘরের মালামালের ধ্বংসাবশেষ ছাড়া কিছুই অবশিষ্ট নেই। এখন স্বামী-সন্তান নিয়ে কোথায় যাব বুঝতে পারছি না।’ কারও কাছ থেকে কোনো ত্রাণ সহায়তা পাননি বলে জানান তিনি। ঘটনার পর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ রুহুল আমিন ও নাসিরনগর উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান খান শাওন ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি পরিদর্শন করেছেন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা শেষ হলে সরকারি সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হবে। ঝড়ে জমির ফসলের যে ক্ষতি হয়েছে তা নিরূপণে কয়েকদিন লাগবে। সংশ্লিষ্ট দফতরের ক্ষতিপূরণ পেলে ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর