রবিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

ফাইলবন্দি চাঁপাইনবাবগঞ্জে অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন

তিন বছরেও কাজের অগ্রগতি নেই

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

চাঁপাইনবাবগঞ্জে অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের প্রস্তাবনার দুই বছর ৯ মাস পার হলেও কাজের দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই। অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনে প্রয়োজনীয় ভূমি অধিগ্রহণে জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে সম্ভব্য স্থান নির্ধারণের কাগজ পাঠানো হয় দুই বছর আগে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) থেকে দুইবার জায়গা পরিদর্শনে আসেন নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী। এখনো ভূমি অধিগ্রহণ শুরু করতে না পারায় প্রকল্পটি নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। অর্থনৈতিক অঞ্চলকে ঘিরে কর্মসংস্থানের স্বপ্ন দেখা হাজার হাজার বেকার যুবক ও উদ্যোক্তার মধ্যে বিরাজ করছে হতাশা।

জানা যায়, টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে সারা দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে অর্থনৈতিক অঞ্চল আইন-২০১০-এর ক্ষমতাবলে বেজা প্রতিষ্ঠা করে আওয়ামী লীগ সরকার। এ প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হবে বলে জানানো হয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর) আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্য আবদুল ওদুদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জেলায় অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের দাবি তুললে তিনি প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। এ ছাড়া ২০১৬ সালের ১৬ মে শেখ হাসিনা চাঁপাইনবাবগঞ্জ সফরে এলে আবদুল ওদুদ দেনদরবার করেন। এর অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের লক্ষ্যে ২০১৯ সালে প্রস্তাবিত এলাকা পরিদর্শন করে বেজা কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরীর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল। এরপর ২০২১ সালের ৩০ মে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের উপকণ্ঠ দারিয়াপুরে প্রস্তাবিত স্থান পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেন প্রতিদিধি দলের সদস্যরা। তখন দারিয়াপুর এলাকার জায়গা অধিগ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো হয়। এখন পর্যন্ত এর সাড়া মেলেনি। প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত এ প্রকল্প আলোর মুখ দেখবে কি না সে বিষয়ে জেলাবাসী সন্দিহান। চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বারের সাবেক সভাপতি আবদুল ওয়াহেদ জানান, এ জেলার মানুষের দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং স্থায়ী কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে সরকারি কিংবা বেসরকারিভাবে তেমন শিল্পকারখানা গড়ে ওঠেনি। ফলে শুধু কৃষিপণ্য ও আমের ওপর নির্ভরশীল মানুষ অর্থনৈতিক সক্ষমতা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছে। অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হলে এ অঞ্চলে উন্নয়নের দুয়ার খুলে যাবে। একই সঙ্গে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প স্থাপনের মাধ্যমে সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থান।

সর্বশেষ খবর