রবিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

জমজমাট মরিচের হাট

নীলফামারী প্রতিনিধি

জমজমাট মরিচের হাট

নীলফামারীর ডোমার উপজেলার মেলাপাঙ্গা গ্রামে গড়ে উঠেছে জমজমাট মরিচের হাট। এ হাটে বিন্দু, সাপ্লাই, ডেমা, ডেমা হাইব্রিড, জিরা, আকাশিসহ দেশি বিভিন্ন জাতের মরিচ বিক্রি করা হয়। বছরে প্রায় ছয় মাস ধরে চলা এ হাটে প্রচুর পরিমাণ মরিচ বেচাকেনা হয়। হাটটিতে উত্তরাঞ্চল থেকে বেশি মরিচ আসে। এ স্থানটি অনেকের কাছে মুসার মোড় নামেও পরিচিত। মরিচের মৌসুমে প্রতিদিন সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত হয় বিকিকিনি। ব্যবসায়ীরা ট্রাকে করে এখান থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মরিচ নিয়ে যান। হাটে প্রতিদিন ১০-১২ হাজার মণ মরিচ বেচাকেনা হয়। এ মরিচের হাট কেন্দ্র করে এ অঞ্চলে একদিকে যেমন বেড়েছে মরিচের আবাদ, তেমনি বেড়েছে মরিচ ব্যবসায়ীর সংখ্যা। ডোমার, ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলা ছাড়াও পাশের জেলা পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জের শত শত চাষি মরিচ বিক্রি করতে এ হাটে আসেন। হাটে আসা মরিচ বিক্রেতা আশিকুর রহমান বলেন, আমি তিন বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছি। এ পর্যন্ত খরচ হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার টাকা। ইতোমধ্যে ১ লাখ টাকার মরিচ বিক্রি করতে পেরেছি। আরেক চাষি আফজাল হোসেন বলেন, এ হাটে মরিচের চাহিদা অনেক। এবার মরিচের ভালো ফলনের সঙ্গে দামও ভালো পাচ্ছি। বর্তমানে এ অঞ্চলের মানুষের কাছে মরিচ প্রধান অর্থকরী ফসল হিসেবে পরিণত হয়েছে। আগামীতে বেশি করে মরিচ চাষ করার আশা করছি। কুষ্টিয়া থেকে আসা মরিচ ব্যবসায়ী মজিবর রহমান বলেন, এটি উত্তরাঞ্চলের বিখ্যাত মরিচের হাট। কয়েক বছর ধরে আমি এ হাট থেকে মরিচ কিনছি। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্র জানায়, নীলফামারী জেলায় এবার মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল এক হাজার ৭৭৫ হেক্টর। আবাদ হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৫ হেক্টর বেশি জমিতে। দিনাজপুরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মরিচ আবাদ হয়েছে ডোমার উপজেলায়। ডোমার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আনিছুজ্জামান জানান, এবার এ জেলায় ৭৫০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ করা হয়েছে। গত কয়েক বছরের তুলনায় কৃষকরা মরিচের ভালো দাম পাচ্ছেন। বিভিন্ন জাতের মরিচ চাষ করে লাভবান হয়েছেন তারা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর