শিরোনাম
মঙ্গলবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

বঙ্গবন্ধু-১০০ ধানে স্বপ্ন দেখছেন চাষিরা

জামান আখতার, চুয়াডাঙ্গা

বঙ্গবন্ধু-১০০ ধানে স্বপ্ন দেখছেন চাষিরা

নতুন জাতের বঙ্গবন্ধু-১০০ বা ব্রিধান-১০০ জাতের ধান আবাদ করে সফলতার স্বপ্ন দেখছেন চুয়াডাঙ্গার চাষিরা। উচ্চ জিংকসমৃদ্ধ এ ধানের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি হওয়ায় কীটনাশকের ব্যবহার কম। ফলে উৎপাদন খরচ অনেক কম। অন্যদিকে বোরো জাতের অন্য যেকোনো ধানের চেয়ে এর ফলনও বেশি। ফলে বঙ্গবন্ধু-১০০ ধান আবাদে অধিক লাভের আশা করছেন চাষিরা। চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের প্রচলিত ধানের সর্বাধিক গড় ফলন বিঘাপ্রতি ২২-২৫ মণ। অথচ নতুন জাত বঙ্গবন্ধু-১০০’র গড় ফলন হবে বিঘায় অন্তত ৩০ মণ। নতুন জাতের এ ধানের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি হওয়ায় কৃষকদের কম খরচে লাভ বেশি হবে। এ জাতের ধান পেয়ে কৃষকরাও আগ্রহী হয়ে উঠছেন। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার মণিরামপুর গ্রামের চাষি বিল্লাল হোসেন জানান, তিনি এ বছর পরীক্ষামূলক দেড় বিঘা জমিতে ব্রিধান-১০০ আবাদ করেছেন। ইতোমধ্যেই ধানগাছে ধানের দানা বাধতে শুরু করেছে। ধানের গোছায় পাতার পরিমাণ কম এবং ধানের শীষ অনেক বেশি। ফলে এ ধান অন্যান্য বোরো ধানের চেয়ে ফলন অনেক বেশি হবে বলে মনে হচ্ছে। কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু-১০০ বা ব্রিধান-১০০ উদ্ভাবন করেছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট। এ ধানে অধিক পরিমাণে জিংক রয়েছে। রয়েছে অ্যামাইলোজ ও প্রোটিনও। ব্রিধান-১০০ জাতে উচ্চ ফলনশীল ব্রিধান-৮৪ চেয়ে অন্তত ১৯ ভাগ বেশি ফলন পাওয়া যাবে।

চাষিরা জানান, বাংলাদেশে বোরো মৌসুমে আবাদ হবে ব্রিধান-১০০। ধানটি দেখতে মাঝারি চিকন। এর শীষ সংখ্যাও অনেক বেশি। দানাগুলোও সুন্দর, পরিপুষ্ট ও ঝরঝরে। অচিরেই এ জাতের ধান কৃষকদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠবে বলে ধারণা চাষিদের। চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, ইতোমধ্যে ব্রিধান-১০০ ধানে দানা বাধতে শুরু করেছে। এ ধানের উচ্চ ফলনের ফলে দেশের ধান উৎপাদন আরও একধাপ এগিয়ে যাবে। ব্রিধান-১০০ বা বঙ্গবন্ধু-১০০ ধান কৃষকের কাছেও সহজেই জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। কারণ এ ধানের আবাদ খরচ কম হলেও ফলন অনেক বেশি। ফলে কৃষকরা লাভবান হবেন। অন্যদিকে দেশে খাদ্যজোগানেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে ব্রিধান-১০০।

 

সর্বশেষ খবর