সূর্যদয়-সূর্যাস্তের বেলাভূমি পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা এখন পর্যটক শূন্য। রমজানের শুরু থেকেই দীর্ঘ ১৮ কিলোমিটার  সৈকতজুড়ে বিরাজ করছে সুনসান নীরবতা। কোথাও নেই পর্যটকের কোলাহল। বন্ধ রয়েছে সব রেস্টুরেন্ট ও  ট্যুরিস্ট বোটগুলো। খালি পড়ে আছে আবাসিক হোটেল-মোটেলের রুম। চিরচেনা কুয়াকাটা, এখন যেন স্থানীয়দের কাছেই অচেনা লাগছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রমজান শুরু থেকেই পর্যটক শূন্যের কোঠায় নেমে আসে। সৈকতের জিরো পয়েন্টের পূর্ব-পশ্চিমে বালিয়ারী ও সমুদ্রে জলরাশি ছাড়া আর কিছুই চোখে পড়ছে না। নেই কোথাও আলোকসজ্জা। মানুষজন না থাকায় সন্ধ্যার পর সৈকতে নামলেই গা ছমছম করে। তবে ঈদের আগে পর্যটক বাড়ার আশা করেছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। তাই অনেকেই নতুন সাজে সাজাচ্ছেন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। তবে এ বছর হচ্ছে না বৈশাখী উৎসব এমনটাই জানিয়েছেন স্থানীয়রা। খলিফা ট্যুরিজমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নূর হোসাইন খলিফা বলেন, এখন রমজান তাই পর্যটক নেই। এ জন্য তার বোর্ডগুলো তীরে উঠিয়ে রাখা হয়েছে। ঈদের দু-একদিন আগে এসব বোর্ড সমুদ্রে ভাসবে। কুয়াকাটা সৈকতের ফটোগ্রাফার হাসান বলেন, পর্যটন নেই, তাই আমাদের কেউই সৈকতে নামছে না। ফিশ ফ্রাই দোকানি মো. জামাল হোসেন জানান, রমজানে পর্যটকরা আসছেন না। তাই এখানকার সব ফিশ ফ্রাই দোকান বন্ধ করে রাখা হয়েছে। কুয়াকাটার আবাসিক হোটেল তাজওয়া প্যালেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জহিরুল হক বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও রমজানে হোটেল বন্ধ রাখা হয়েছে। তার হোটেলে ২৭টি রুম রয়েছে। এখন ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে।

 কুয়াকাটা ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন টোয়াকের সাধারণ সম্পাদক কেএম জহির বলেন, প্রথম রমজান থেকেই পর্যটক শূন্য কুয়াকাটা। স্থানীয় লোকজন ছাড়া নেই দূরের কোনো পর্যটক। বন্ধ রয়েছে খাবার রেস্টুরেন্ট। এ ছাড়া এখানকার সব আবাসিক হোটেল মোটেলের রুম এখন খালি পড়ে রয়েছে। কুয়াকাটা ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন কুটুমের সম্পাদক মো. হোসাইন আমির বলেন, প্রতিবছর রমজানে কিছু না কিছু পর্যটক কুয়াকাটায় থাকে। কিন্তু এবার অনেকটাই ভিন্নতা দেখা গেছে। এমনকি বৈশাখের উৎসব হচ্ছে না কুয়াকাটায়। তবে ঈদের পর ব্যাপক পর্যটকের আগমন ঘটবে এমটাই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি। ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের পুলিশ পরিদর্শক মো. হাসনাইন পারভেজ বলেন, রমজানের কারণে কুয়াকাটায় এখন পর্যটক নেই। তার পরও প্রতিদিনই ট্যুরিস্ট পুলিশের একটি টিম কাজ করছে।