সন্ধ্যার পর ছিনতাইকারীদের দখলে চলে যায় টঙ্গী! বেলা ডোবার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন স্পটে অবস্থান নেয় তারা। পরে রাত বারার সঙ্গে সঙ্গে ছিনতাইকারীরা সাধারণ মানুষের সর্বস্ব কেড়ে নেওয়ার পাশাপাশি মানুষের প্রাণও কেড়ে নেয়। ঈদকে সামনে রেখে ছিনতাই চক্রের সদস্যা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। স্থানীয় দলীয় নেতা-কর্মীদের ছত্রচ্ছায়ায় তাদের কার্যক্রম দেদার চলছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে উল্লেখযোগ্য ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে এর প্রকোপ বাড়তেই থাকবে বলে মন্তব্য করেন অনেকে। সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, টঙ্গী শিল্পনগরী এখন ছিনতাইকারীদের দখলে। সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলেই শুরু হয় তাদের তৎপরতা। একটি চক্র বহিরাগত ছিনতাইকারীদের ভাড়া করে এনে টঙ্গীতে ছিনতাই কাজে ব্যবহার করে। টঙ্গী পূর্ব ও পশ্চিম থানাধীন এলাকায় কয়েকটি ছিনতাই স্পটের মধ্যে আবদুল্লাপুর ব্রিজের নিচে, বাটা গেট, নতুন বাজার রেলগেট, ৪৬ নম্বর ওয়ার্ড হকের মোড়, আমতলী, নিমতলী, তিস্তার গেট, বউবাজার রেল গেট, বনমালা রেল গেট, টঙ্গী সফিউদ্দিন রোড, আরিচপুর নদীবন্দর, গাজীপুরা বাঁশপট্টি, মধুমিতা রেললাইন, প্রত্যাশার মাঠ, টঙ্গী রেলওয়ে জংশনসহ ২০-২৫টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। পুলিশি ঝামেলার জন্য অনেকেই থানায় যান না। এ বিষয়ে টঙ্গীবাজার এলাকার এক ব্যবসায়ী শাহীন বলেন, প্রতিদিন ভোরে আবদুল্লাপুর ব্রিজ পার হলেই গাড়ি কিংবা রিকশার পথরোধ করে যাত্রীদের সর্বস্ব ছিনিয়ে নিচ্ছে। এ ব্যাপারে থানা পুলিশ কর্তকর্তারা বলছেন, ছিনতাইরোধে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।