চুয়াডাঙ্গায় অসহায় নারীরা নকশি সেলাই প্রশিক্ষণ নিয়ে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। হতদরিদ্র এসব নারীকে বাড়তি আয়ের মাধ্যমে জীবনযুদ্ধে টিকে থাকার পথ দেখাচ্ছেন জাহানারা খাতুন নামে এক নারী। তার প্রতিষ্ঠিত জাহানারা যুব মহিলা সংস্থা নামের সংগঠনে বিনামূল্যে বিভিন্ন হাতের কাজ শিখছেন নারীরা। সরেজমিনে জাহানারা যুব মহিলা সংস্থার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, অর্ধশত নারী সুঁই-সুতার কারুকাজে ব্যস্ত। অসচ্ছল এসব নারীর হাতের ছোঁয়ায় সুঁই-সুতার বুনবে নকশিকাঁথায় ফুটে উঠছে গ্রাম-বাংলার ঐহিত্য। এর মাধ্যমেই তারা স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। প্রশিক্ষণার্থীরা বলেন, আগে তারা বাড়িতে বসে অলস সময় পার করতেন। এখন সেই সময়েই শিখছেন সেলাইসহ নানা হাতের কাজ। এতে করে তাদের শিল্পজ্ঞান বৃদ্ধি পাচ্ছে। তৈরি হচ্ছে বাড়তি আয়ের পথ। সংস্থার নারীদের মধ্যে থেকেই গড়ে উঠছেন প্রশিক্ষক। তারাই নতুনদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। এদের মধ্যে নাজনীন নাহার নিপা, সোনালী খাতুন, মরিয়ম খাতুন ও তাসনিম খাতুন বর্তমানে প্রশিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। তারা বলেন, জাহানারা যুব মহিলা সংস্থা অসহায় নারীদের পথ দেখাচ্ছে। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, জাহানারা খাতুনের মাধ্যমে তৃণমূলের অসহায় নারীরা সুঁই-সুতায় নতুন দিনের স্বপ্ন দেখছেন। ইতোমধ্যে এসব নরীর হাতের কাজ দেশ-বিদেশে সুনাম অর্জন করেছে। ভবিষ্যতে সারা বিশে^ ছড়িয়ে পড়বে তাদের হাতের কারুকাজ।