শনিবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

পানি-কাদায় একাকার সড়ক

ধানের চারা রোপণ করে প্রতিবাদ

নাটোর প্রতিনিধি

মাটির প্রলেপ পড়ে ঢেকে গেছে পাকা রাস্তা। এ অবস্থায় বৃষ্টি আসায় পানি-কাদায় একাকার হয়ে গেছে সড়ক। দেখে বোঝার উপায় নেই এখানে পাকা রাস্তা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে রাস্তার কাদায় ধানের চারা রোপণ করে প্রতীকী প্রতিবাদ জানিয়েছেন এলাকার কিশোর ও শিশুরা। সড়কের এমন দৃশ্য নাটোরের নলডাঙ্গা, লালপুর, বাগাতিপাড়া, গুরুদাসপুর, বড়াইগ্রাম ও সিংড়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে। জানা যায়, অবৈধভাবে খনন করা পুকুরের মাটি যানবাহনে করে নিয়ে যাওয়া হয় বিভিন্ন এলাকায়। এতে একদিকে ফসলি জমি উজাড় হচ্ছে। অন্যদিকে যানবাহন থেকে কাদামাটি রাস্তায় পড়ে স্তূপ হয়ে আছে। এমন অবস্থায় গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে জমে ওইসব সড়কে চলাচলে ভোগান্তি বেড়েছে। দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন চলাচলকারীরা। উপজেলা প্রশাসন বার বার অভিযান চালালেও বন্ধ হয়নি মাটি ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য। সরেজমিন দেখা যায়, নলডাঙ্গার পাটুল পশ্চিমপাড়া, আঁচড়াখালী, পিপরুল, বাসুদেবপুর ও জামতৈলের বিভিন্ন রাস্তায় কাদা জমে আছে। এ ছাড়া বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের হাজিরহাট থেকে কাঁচিকাটা বিশ্বরোড মোড়, কাঁচিকাটা থেকে চাঁচকৈড়, আনন্দনগর থেকে খুবজিপুরসহ উপজেলার কমপক্ষে ১০টি সড়কের একই অবস্থা। গুরুদাসপুরের কাঁচিকাটা সড়কের পাশের কয়েকজন বাসিন্দা গত বুধবার জানান জানান, মাটি ব্যবসায়ীদের কারণে আমরা অতিষ্ঠ। আজ এই রাস্তায় হেঁটেও চলাও সম্ভব হচ্ছে না। সকাল থেকে কয়েকটা দুর্ঘটনা ঘটেছে। রাস্তায় চলাচলকারী ট্রাকচালক আবদুস সোবহান জানান, কাদার জন্য ধীর গতিতে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। এ ছাড়া কোনো উপায় নেই। গুরুদাসপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু রাসেল বলেন, যেসব রাস্তায় মাটি পড়ে আছে সেগুলো পরিষ্কার করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

 লালপুর- গৌরিপুর সড়কের চামটিয়া অংশেরও একই পরিস্থিতি। সিংড়ার মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে জনদুর্ভোগের খবর পাওয়া গেছে। বড়াইগ্রামের বিভিন্ন গ্রামীণ সড়ক চলাচলের প্রায় অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বাগাতিপাড়ার আঞ্চলিক ও গ্রামীণ সড়কেও পানি-কাদার কারণে চলাচল করতে পারছে না পথচারীরা। এ ব্যাপারে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম বলেন, রাস্তা প্রস্তুত ও মেরামতের কাজটা আমরা করি জনগণের চলাচলের জন্য। অন্য কোনো কারণে জনদুর্ভোগ হলে তখন সংশ্লিষ্ট দফতর ও প্রশাসন ব্যবস্থা নিয়ে থাকে। নাটোর জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। বিভিন্ন উপজেলায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে মাটি অবৈধ ব্যবসায়ীদের একাধিকবার জরিমানা করা হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর