শনিবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

রেলওয়ে কারখানায় প্রাণ পাচ্ছে পুরনো ট্রেন

আবদুল বারী, নীলফামারী

রেলওয়ে কারখানায় প্রাণ পাচ্ছে পুরনো ট্রেন

ঈদুল ফিতরে ঘরমুখো মানুষদের বিশেষ সেবা দিতে নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় চলছে বগি প্রস্তুতকরণের ব্যস্ততা। নির্ধারিত কর্মঘণ্টার পরও অতিরিক্ত সময় দিয়ে লক্ষ্যমাত্রা পূরণে কাজ করছেন শ্রমিকরা। কারখানার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রয়োজনের মাত্র ২৫ শতাংশ জনবল নিয়ে কাজ হচ্ছে কারখানায়। ৩ হাজার ৮৪১ জন শ্রমিকের বিপরিতে রয়েছেন মাত্রা ১ হাজার ৩৩৭ জন। যা দিয়ে চালানো হচ্ছে দেশের বৃহত্তম এই রেলওয়ে কারখানার কাজ। কারখানায় শ্রমিকরা কেউ রং, কেউ বডি প্রস্তুতকরণ, কেউ ক্ষুদ্র যন্ত্রাংশ তৈরি, কেউ চাকা মেরামত, কেউ ওলেল্ডিং, আবার কেউ কোচের সিট মেরামতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। পুরনো ট্রেনকে নতুন করে প্রাণ দিচ্ছেন কারখানার দক্ষ শ্রমিকরা। শ্রমিকদের কায়িক শ্রম মেধাই কারখানার প্রধান বৈশিষ্ট্য। ব্রিটিশ সরকার ১৮৭০ সালে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানাটি স্থাপন করেন। প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কাজ চলছে কারখানার ২৪টি বিভাগে। ইতোমধ্যে প্রস্তুত হওয়া ৩০টি বগি হস্তান্তর করা হয়েছে রেলওয়ের পাকশি ও লালমনিরহাট বিভাগে। কারখানার জিওএইচ শপের ইনচার্জ আরিফুর রহমান জানান, এই ঈদে ৫০টি নতুন কোচ যুক্ত হবে আন্তনগরের বিভিন্ন বহরে। প্রতি কোচে ১০০ জন করে হলে ৫০টি কোচে ৫ হাজার যাত্রীকে অতিরিক্ত হিসেবে দৈনিক সেবা দেওয়া যাবে। ঈদের সময় যাত্রী চাপ কয়েক গুণ থাকায় এই সেবার উদ্যোগে শামিল হয়েছি আমরা সবাই। উৎপাদন মেশিন শপের ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ঈদে ঘরমুখো মানুষের সেবা দিতে আমরা প্রস্তুত।

জনবল সংকট প্রধান সমস্যা এখানে। প্রয়োজনীয় জনবল থাকলে কারখানাটি আরও উন্নত সেবা দিতে পারত। উৎপাদন এই বিভাগে ১৩৮ জন শ্রমিক প্রয়োজন। তবে রয়েছে মাত্র ৩৮ জন। ৩৮ জনকে কাজ করতে হচ্ছে পুরো শপের। ঈদের সময় আমরা সবাই অত্যন্ত কষ্ট নিয়ে কাজ করি। সৈয়দপুর কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক সাদেকুর রহমান জানান, লক্ষ্যমাত্রার ৫০টি কোচের মধ্যে ইতোমধ্যে ৩০টি কোচ হস্তান্তর করা হয়েছে রেলের পাকশি ও লালমনিরহাট বিভাগে। বাকি ২০টির কাজ চলছে পুরোদমে। নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের সেবা নিশ্চিত করতে আমরা যথাযথ দায়িত্ব পালন করছি। এই ৫০টি কোচ রেলের পশ্চিম ও পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন আন্তনগর ট্রেনের র‌্যাকে যুক্ত হয়ে যাত্রী পরিবহন করবে।

সর্বশেষ খবর