বুধবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন

বাগেরহাট প্রতিনিধি

বৃষ্টি না হওয়ায় তীব্র দাবদাহে পুড়ছে বাগেরহাটের প্রাণপ্রকৃতি। প্রতিদিন ৩৮ থেকে ৩৯ ডিগ্রির ওপরে তাপমাত্রা বিরাজ করছে বাগেরহাট জেলা জুড়ে। দাবদাহ আর তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এখানকার জনজীবন। সূর্যের প্রখর তাপে সাধারণ মানুষের জীবন ওষ্ঠাগত। বৃষ্টি না হওয়া আর প্রচ- রোদে ঘর থেকে বের হতে পারছে না শ্রমিক, দিনমজুরসহ খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। এসব খেটে খাওয়া মানুষ সামান্য স্বস্তি ও শরীর শীতল করতে ছুটছে গাছের ছায়াতলে। অতিরিক্ত গরমে শিশুরা ছুটছে বিভিন্ন শরবত ও পানীয়ের দোকানে। কোথাও কোথাও পুকুরে নেমে পড়ছে শিশুসহ সব বয়সী মানুষ। গতকালও প্রচ- দাবদাহের কারণে মোংলার রাস্তাঘাটে লোকজনও অন্যান্য সময়ের তুলনায় অনেক কম। ঈদ সামনে থাকলেও দিনের বেলায় শহরের দোকানপাট ও রাস্তাঘাট ছিল অনেকটা ফাঁকা।

খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া লোকজন ঘর থেকে বের হচ্ছে না। শহরের দিনমজুর আবদুল কাউয়ূম, এনায়েত হোসেন ও খলিলুর রহমান বলেন, প্রচ- গরমে কাজ করা যাচ্ছে না, দিন খেটে খাই। গরমে বসে থেকে জীবিকা চলে না, কী করব বুঝে উঠতে পারছি না। দাবদাহের প্রভাব মানুষের পাশাপাশি প্রভাব পড়েছে চিংড়ি চাষেও। চরম ঝুঁকিতে রয়েছে জেলার বেশির ভাগ মানুষের আয়ের উৎস সাদা সোনাখ্যাত বাগদা চিংড়ি শিল্প। এ বিষয়ে মোংলা উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম বলেন, অতিরিক্ত গরমে ঘেরের চিংড়ি মাছ অক্সিজেন ফেল করে মরে ভেসে উঠে। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে পুকুর ও মাছের ঘেরে গাছের ডাল পুঁতে রাখতে ছায়ার ব্যবস্থা করতে চিংড়ি চাষিদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যাতে করে মাছের ঘেরে অক্সিজেন তৈরি হয়। বাগেরহাট ২৫০ বেড হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসিম কুমার সমদ্দার জানান, তীব্র দাবদাহে পানি স্বল্পতাসহ হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি রয়েছে। বাড়ছে ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত রোগ। তাই তীব্র দাবদাহে শিশু, বৃদ্ধ এবং রোজাদারদের খুব জরুরি কাজ ছাড়া বাহিরে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন এক চিকিৎসক।

সর্বশেষ খবর