শুক্রবার, ৬ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

খোলা আকাশের নিচে ঈদ ১৫ হাজার মানুষের

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

খোলা আকাশের নিচে ঈদ ১৫ হাজার মানুষের

রংপুরে কালবৈশাখীতে লণ্ডভণ্ড বসতঘর

রংপুরে এবার ১৫ হাজার মানুষের ঈদ কেটেছে খোলা আকাশের নিচে। ঈদের আগে রংপুরের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড়ে ঘর হারিয়ে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে এসব মানুষ। জেলা ত্রাণ অফিস বলেছে, ক্ষতিগ্রস্তদের চাল, শুকনো খাবার, টিন ও নগদ টাকা দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় ত্রাণ অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ এপ্রিল রংপুরের ওপর দিয়ে বয়ে যায় কালবৈশাখী ও শিলা বৃষ্টি। ঝড়ে মিঠাপুকুর, বদরগঞ্জ, পীরগঞ্জ, কাউনিয়া ও গঙ্গাচড়া উপজেলায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বদরগঞ্জে দুটি ইউনিয়নে ২৬০টি ঘর সম্পূর্ণ ও ৪৩০টি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মিঠাপুকুরে একটি ইউনিয়নে ২০০ ঘর সম্পূর্ণ ও ৫৫০টি আংশিক, পীরগঞ্জের পাঁচ ইউনিয়নে ৩০০ ঘর সম্পূর্ণ ও ৪৯৭টি আংশিক, কাউনিয়ায় ছয়টি ইউনিয়নে ১০০ ঘর সম্পূর্ণ ও ৭০০টি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া গঙ্গাচড়ার পাঁচ ইউনিয়নে ১৫০ ঘর সম্পূর্ণ ও আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫৫০টি। মিঠাপুকুরের কৃষক তোফাজ্জল হোসেন বলেন, একটি মাত্র ঘরে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে থাকতাম। ঝড়ে একমাত্র মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকু উড়িয়ে নিয়ে গেছে। এখন খোলা আকাশের নিচে বাস করছি। স্ত্রী ও সন্তানের জন্য ঈদের কেনাকাটা করা হয়নি। শুধু তোফাজ্জল হোসেনই নন, রংপুরের পাঁচ উপজেলার কয়েক হাজার পরিবারের এমন অবস্থা। ত্রাণ অফিসের সূত্র মতে জেলার পাঁচ উপজেলার তিন হাজার ৪৪০ পরিবারের ১৩৭৬০ জন মানুষ ঝড়ের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এসব  পরিবারের জন্য ৩৭ মেট্রিক টন চাল, ৯০০ প্যাকেট শুকনো খাবার, ১৮০ বান্ডিল টিন ও নগদ চার লাখ টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছে। জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা মোতাহার হোসেন বলেন, ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। ঘরবাড়ি ছাড়াও ওই দিনের ঝড়ে কয়েক হাজার গাছসহ ফসলের ক্ষতি হয়েছে। কাউনিয়ার আফজাল হোসেনসহ স্থানীয় কৃষকরা জানান, বোরো ধানসহ অন্য ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রংপুর কৃষি অফিসের উপ-পরিচালক ওবায়দুর রহমান মণ্ডল বলেন, ঝড়ে ফসলের ক্ষতি হয়নি। ক্ষতি যা হয়েছে তা গাছপালা ও ঘরবাড়ির।

সর্বশেষ খবর