শিরোনাম
শনিবার, ৭ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

এসডিজির বাড়তি সূচকে বদলে যাবে শ্রীমঙ্গলের পর্যটন

দীপংকর ভট্টাচার্য লিটন, শ্রীমঙ্গল

এসডিজির বাড়তি সূচকে বদলে যাবে শ্রীমঙ্গলের পর্যটন

২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজির ৩৯টি সূচক পূর্ণ করবে বাংলাদেশ। সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। এ ৩৯টি সূচকের বাইরে স্থানীয়ভাবে আরও একটি বাড়তি সূচক পূরণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর জন্য দেশের সবকটি উপজেলায় স্থানীয় সম্ভাবনাময় খাত চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে। শ্রীমঙ্গল উপজেলা থেকে এই বাড়তি সূচক পূরণের জন্য বেছে নেওয়া হয় পর্যটনশিল্পকে। ২০৩০ সালে পর্যটনশিল্পেই ঘুরবে এ উপজেলার অর্থনীতির চাকা। চা-বাগান, হাওর, পাহাড় ও সমতলের বৈচিত্র্যপূর্ণ জনপথ  মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল। আর এই সৌন্দর্যগুলো ঘিরেই এ উপজেলায় রয়েছে পর্যটনের অমিত সম্ভাবনা। আর এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারলে শুধু এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নই নয়, দেশের টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নেও বড় অবদান রাখবে বলে মনে করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম। তিনি জানান, বর্তমানে প্রতিদিন শ্রীমঙ্গলে প্রায় ৫ হাজার পর্যটক আসছেন। স্থানীয় অর্থনীতির ৪০ শতাংশ আসছে এই পর্যটনশিল্প থেকে। ২০৩০ সালের মধ্য পর্যটকের সংখ্যা তিন গুণ বৃদ্ধি করে দৈনিক ১৫ হাজারের টার্গেট নেওয়া হয়েছে। মাসে ৪ লাখ ৫০ হাজার এবং বছরে পর্যটকের সংখ্যা দাঁড়াবে ৫৪ লাখ। তখন স্থানীয় অর্থনীতির ৮০ শতাংশই আসবে এই পর্যটন খাত থেকে। এ লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসন থেকে এ উপজেলার পর্যটনশিল্পের বিকাশে ‘রূপময় শ্রীমঙ্গল’ নামে বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় একটি ডকুমেন্টরি নির্মাণ করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার উপজেলা পরিষদের হলরুমে এ ডকুমেন্টরিটির প্রিমিয়ার শো অনুষ্ঠিত হয়। ১২ মিনিটের ডকুমেন্টরিতে তুলে ধরা হয়েছে এ উপজেলার ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সম্ভাবনা। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে ডকুমেন্টরিটির সোশ্যাল মিডিয়ায় ছাড়া হবে। এতে শ্রীমঙ্গলে আরও বেশি সংখ্যক পর্যটকের আগমন ঘটবে বলে মনে করা হচ্ছে। একই সঙ্গে কর্মসংস্থানের পাশাপাশি এ অঞ্চলে আরও বেশি স্থানীয় এবং আঞ্চলিক উদ্যোক্তা তৈরি হবে। পর্যটন সংশ্লিষ্টদের মতে, পর্যটনশিল্পকে এগিয়ে নিতে হলে প্রয়োজন পরিকল্পিত উদ্যোগ ও তার যথাযথ বাস্তবায়ন এবং সফল বিনিয়োগ। এই তিনের সমন্বয়েই এখানকার পর্যটনশিল্পের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো সম্ভব। জানা যায়, দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতো এ উপজেলার ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের দিক দিয়ে রয়েছে নিজস্ব স্বকীয়তা। রয়েছে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য। এখানকার ভৌগোলিক  বৈশিষ্ট্য, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি এ উপজেলাকে পর্যটনশিল্পের ক্ষেত্রে অপার সম্ভাবনাময় করে তুলেছে। এখানে রয়েছে বৈচিত্র্যময় প্রাকৃতিক পরিবেশ, চা-বাগান, মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদ, আদিবাসীদের স্বতন্ত্র সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য ও প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য। গত দুই বছর ধরে এখানকার সবুজ প্রকৃতিতে গড়ে ওঠা আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পগুলো এ উপজেলায় পর্যটনে নতুন মাত্রা এনে দিয়েছে।

সর্বশেষ খবর