রবিবার, ৮ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

নানা জাতের আমে ভরপুর সাতক্ষীরার বড়বাজার

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

নানা জাতের আমে ভরপুর সাতক্ষীরার বড়বাজার

নানা জাতের আমে ভরপুর হয়ে উঠেছে সাতক্ষীরার বড়বাজার। জ্যৈষ্ঠ মাস আসার অগেই সাতক্ষীরার সুলতানপুরের এ বাজারে উঠতে শুরু করেছে গোবিন্দভোগ, গোপালভোগ, বোম্বাইসহ বিভিন্ন ধরনের আম। আবহাওয়া আর মাটির গুণাগুণের কারণে অন্য জেলার তুলনায় সাতক্ষীরার আম আগেই পাকে। জেলা প্রশাসক ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর ৫ মে আনুষ্ঠানিকভাবে আম পাড়া শুরু করেছে। জানা গেছে, এ বছরও সাতক্ষীরা বিষমুক্ত সুস্বাদু ১০০ মেট্রিক টন আম রপ্তানি হবে ইউরোপের বাজারে। এ জন্য তালা, কলারোয়া, সদর ও আশাশুনি ও দেবহাটা উপজেলার ৫০০ চাষিকে আগে থেকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের পক্ষ থেকে প্রশিক্ষণ দিয়ে আম উৎপাদন করা হয়েছে। আবহাওয়া ও পরিবেশ ঠিক থাকলে শিগগিরই গোপালভোগ, হিমসাগর ও ন্যাংড়া আম যাবে জার্মান, ফ্রান্স, ইতালিসহ ইংল্যান্ডের বাজারে। এদিকে বড়বাজারে জেলার বিভিন্ন গ্রামের বাগান থেকে ভ্যানসহ বিভিন্ন পরিবহনযোগে আসছে আম। ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যবসায়ী ও আড়তদাররা আম কিনতে এসেছেন এখানে। ইতোমধ্যে বড় বাজারের আরতগুলো ক্রেতা-বিক্রেতার পদচারণায় আর কেনা-বেচায় চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। সাতক্ষীরা কাঁচা ও পাকামাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিম বাবু জানান, গত ২৭ মার্চ সরকারি কর্মকর্তা ও আম ব্যবসায়ীদের নিয়ে মতবিনিময় সভায় জেলায় আম ভাঙার সময়সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। ৫ মে থেকে গোবিন্দভোগ, গোপালভোগ, বোম্বাই, ক্ষীরশরাই, গোলাপখাস ও বৈশাখীসহ অন্য স্থানীয় জাতের আম গাছ থেকে পাড়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া ১৬ মে হিমসাগর, ২৪ মে ন্যাংড়া এবং ১ জুন থেকে আম্রপালি বাজারে তোলার নির্দেশনা দেওয়া হয়। সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক নুরুল ইসলাম বলেন, এ বছর জেলায় চার হাজার ১১৫ হেক্টর জমিতে আম আবাদ হয়েছে। ৪০ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু চলতি বছর জেলায় আমের ফলন খুব কম হয়েছে।

৫০ ভাগ গাছে মুকুল আসেনি। আমগাছে যখন মুকুল আসবে, ঠিক তার আগ মুহূর্তে শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ে মুকুল ঝরে গেছে।

সর্বশেষ খবর