সোমবার, ৯ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

কলাপাড়ায় ডায়রিয়ার প্রকোপ চিকিৎসা চলছে মেঝেতে

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

কলাপাড়ায় ডায়রিয়ার প্রকোপ চিকিৎসা চলছে মেঝেতে

কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শয্যা সংকটের কারণে মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছে রোগীরা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

প্রচন্ড দাবদাহে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। একই সঙ্গে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে দেখা দিয়েছে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব। গতকাল সকাল থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ১৩ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। এ ছাড়া গত ১ মে থেকে ৮ মে পর্যন্ত ১১৫ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে। প্রতিদিন ভর্তি হচ্ছে নতুন নতুন রোগী। এর মধ্যে অধিকাংশ শিশু ও বৃদ্ধ। তবে হাসপাতালে শয্যা সংকটের কারণে অনেক রোগীকে মেঝেতে বিছানা পেতে চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে। কলাপাড়া হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, জুবায়দা (২), হালিম (৬০), সনিয়া (৩০) হাফিজা (১৯ মাস), জুলিয়া (১৩), সত্তার (৫৫), ইসমাইল (১১), দ্বীন ইসলাম (১৩), জুবায়দুল ইসলাম (৬ মাস)-সহ ১৩ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে এক দিনে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এরা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা। এদিকে হঠাৎ এলাকায় ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় ৫০ শয্যা হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্সদের রোগীদের চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তবে হঠাৎ করে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টিকে প্রচন্ড গরম আবহাওয়া এবং বিশুদ্ধ পানির সংকটকে দায়ী করছেন চিকিৎসকরা। এ ছাড়া এ সময় লেবুর শরবত, ডাবের পানি, স্যালাইন খেতে পরামর্শ দিচ্ছেন। উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের আক্কেলপুর গ্রামের ছয় মাসের শিশু জুবায়দুল ইসলামকে হাসপাতালে ডায়রিয়ার চিকিৎসা করাতে আসেন পিতা আক্কাস হাওলাদার। এ সময় তিনি বলেন, তার একমাত্র শিশুসন্তান শনিবার রাতে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়। ওই রাতে স্থানীয় পর্যায়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। কোনো উন্নতি না হওয়ায় গতকাল সকালে কলাপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত পঞ্চাশোর্ধ্ব সত্তার বলেন, শনিবার রাতের খাবার খাওয়ার পর হঠাৎ বমি হয়। কিছুক্ষণ পর অসুস্থ হয়ে পড়ি। এরপর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স কল্পনা বিশ্বাস বলেন, ৫০ শয্যাবিশিষ্ট এ হাসপাতালে পার্শ্ববর্তী আমতলী ও তালতলী উপজেলার কিছুসংখ্যক রোগী চিকিৎসা নিতে আসছে। এ কারণে রোগীর চাপ বেশি। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. ইকবাল বলেন, অতিরিক্ত গরম ও পানি, খাবার, অপরিষ্কার অপরিচ্ছন্নতার কারণে ডায়রিয়া দেখা দিয়েছে। কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. চিন্ময় হাওলাদার জানান, আমাদের হাসপাতালে স্যালাইনসহ পর্যাপ্ত পরিমাণে ওষুধ রয়েছে। কোনো সংকট নেই।

সর্বশেষ খবর