সোমবার, ৯ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

হলুদ তরমুজের চাহিদা বাড়ছে

মোশাররফ হোসেন বেলাল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

হলুদ তরমুজের চাহিদা বাড়ছে

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাড়া ফেলেছে বিশেষ জাতের  লেনফাই তরমুজ। বাজারের অন্যান্য তরমুজের  চেয়ে ১৫ গুণ বেশি মিষ্টতা সম্পন্ন এই তরমুজের ভিতরে ছেয়ে আছে হলুদ বর্ণ। ফলে ক্রেতাদের কাছেও বেশ সমাদৃত। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রথমবারের মতো আবাদ হয়েছে এমন বিশেষ জাতের তরমুজ। সারা বছরই আবাদযোগ্য এই তরমুজের চাষ ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়,  জেলায় গত বছর ১৪ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হলেও এবার আবাদ হয়েছে ১৭ হেক্টর জমিতে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ছাড়াও জেলার কসবা, নবীনগর, বাঞ্ছারামপুর, নাসিরনগর ও আখাউড়ায় তরমুজের আবাদ হয়। জেলায় দেশীয় জাত ছাড়াও ব্ল্যাক বেরী, সুইট বেরী লেনফাই সহ বিভিন্ন হাইব্রিড জাতের তরমুজ চাষ হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের কৃষক খলিল মিয়া  লেনফাই নামে হাইব্রিড জাতের তরমুজের আবাদ করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন। কৃষক খলিল মিয়া বলেন, প্রথম বারে আমি পরীক্ষামূলক চাষ করলেও লাভজনক হওয়াই দ্বিতীয়বারে আবারও ১ বিঘা জমিতে আবাদ করি। এতে আমার খরচ হয়েছে ৫৫/৬০ হাজার টাকা। ফলন ভালো হওয়াই বিক্রি করতে পারলে আমার উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে প্রায় ৭০ হাজার টাকা লাভ হবে। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, গাছের পাতার ফাঁক দিয়ে তরমুজের অংশ বিশেষ দেখা যাচ্ছে। কৃষকরা খেতের আগাছা পরিষ্কার কাজে ব্যস্ত আছেন। বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকাররা আসছেন জমি থেকেই তরমুজ কিনে নিয়ে যেতে। খলিলের খেতে পরিচর্যাকারী শ্রমিক হুমায়ুন মিয়া বলেন, তরমুজ চাষ ঝামেলামুক্ত। নিয়মিত আগাছা মুক্ত করা ছাড়া তেমন কোনো পরিচর্যা করতে হয় না। তবে তরমুজ জলাবদ্ধতা সহ্য করতে পারে না। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমাদের ফলন বেশ ভালো। বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা লোকজন খেত থেকেই তরমুজ কিনে নিয়ে যাচ্ছে। নতুন ধরনের তরমুজ দামও বেশ ভালো পাওয়া যাচ্ছে। তার সফলতায় উৎসাহী হয়ে অন্যান্য কৃষকও তরমুজ আবাদের ঝুঁকছে। কৃষক সালাম মিয়া বলেন, খলিল মিয়ার তরমুজ খেত দেখে প্রতিদিন বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন আসছেন। আমিও তরমুজ চাষ করব বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

সর্বশেষ খবর