একটি সেতুর অভাবে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন গাইবান্ধার পলাশবাড়ি উপজেলার ১০ গ্রামের হাজার হাজার মানুষ। উপজেলার কিশোরগাড়ি ইউনিয়নের জাফর গ্রামে আখিরা নদীর ওপর আমবাগান ঘাটে গ্রামবাসী নিজ উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো তৈরি করলেও তাতে যানবাহন পারাপার সম্ভব হচ্ছে না। গ্রামবাসী জানান, পাশের জেলা দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা কাছে হওয়ায় সেখানে হাটবাজার, স্কুল, কলেজ, চিকিৎসাসহ নানা কাজে তাদের এ বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করে যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু পণ্য পরিবহনের জন্য এটিতে কোনো যানবাহন উঠতে পারে না। তাই কৃষক, ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষকে অসুবিধায় পড়তে হয়। পালপাড়া, শীলপাড়া, জাফর, মুংলিশপুর, গণকপাড়া, রামচন্দ্রপুর, হাসানখোর, জাইতরসহ ১০ গ্রামের মানুষ তাই এ স্থানে একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন। জাফর গ্রামের বাসিন্দা মজিদ প্রামাণিক বলেন, আমবাগান ঘাট থেকে পাশের ঘোড়াঘাট উপজেলার দূরত্ব মাত্র এক কিলোমিটার। আর নিজ উপজেলা পলাশবাড়ি সদরের দূরত্ব ১৩ কিলোমিটার। তাই স্কুল, কলেজ, হাটবাজার, চিকিৎসাসহ নানা কাজে ১০ গ্রামের মানুষ ঘোড়াঘাটেই যাতায়াত করে যুগ যুগ ধরে। কিন্তু আখিরা নদীর ওপর সেতু না থাকায় তাদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। বাঁশের নড়বড়ে সাঁকোও পুরনো হয়ে গেলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। বর্ষার সময় দুর্ভোগ আরও বেড়ে যায়। খানিকটা পথ নৌকায় গিয়ে বাঁশের সাঁকোতে উঠতে হয়। কিশোরগাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, একটি সেতু নির্মাণ খুবই জরুরি। এ পথে যাতায়াতকারীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্বাধীনতার ৫০ বছরেও আখিরা নদীর ওপর একটি সেতু না হওয়ায় এলাকাবাসীর মনে ক্ষোভ রয়েছে। পলাশবাড়ি ইউএনও কামরুজ্জামান নয়ন বলেন, মানুষের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য আমবাগান ঘাট এলাকায় সেতু নির্মাণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।