সোমবার, ৯ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

অসময়ে মিলছে আম

বাবুল আখতার রানা, নওগাঁ

অসময়ে মিলছে আম

সারা বছরই মিলছে আম। জ্যৈষ্ঠের ফল উৎসবে আম পাড়তে অপেক্ষা করতে হয় না আম চাষিদের। মৌসুমী ফল আগাম জাতের আম বাজারে আসতে এখনো এক মাস বাকি। বর্তমানে যে গরম চলছে তাতে এসব ফল তৃপ্তি, তৃষ্ণা ও খাদ্যগুণ সবকটিই মেটাতে সক্ষম। বিশেষ করে এই বৈশাখে পাকা আম পাওয়া যাচ্ছে। আমের রাজধানীখ্যাত নওগাঁ। তবে দাম বেশ চড়া। প্রতি কেজি ২৮০-৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তাই কিনতে হিমশিম খাচ্ছে ক্রেতারা। আম চাষিরা জানায়, মূলত মে থেকে সেপ্টেম্বর মোট ৫ মাস আমের মৌসুম থাকে। মে মাসের ২য় সপ্তাহ থেকে জুনের মাঝামাঝি সময়ে পাকে আগাম জাতের আম। কাটিমন আম ১২ মাসি হওয়ায় দাম ভালো পাওয়া যায়। ইতোমধ্যে এই আম চাষ করে লাভবান হচ্ছে অনেকে। সাপাহার উপজেলার গোয়ালা ইউনিয়নের  কোচকুড়লিয়া এলাকায় বকুল ৫ বিঘা ও একই ইউনিয়নের সারোকডাংগা এলাকার হাফিজুরের ১৫ বিঘা বারোমাসি আম বাগান রয়েছে। বরোমাসি আমের বাগান থেকে কাটিমন আম পেরে কার্র্টুনে ভরে  দেশের বিভিন্ন স্থানে কুরিয়ারের মাধ্যমে পাঠাচ্ছেন। হাফিজুর ও বকুল বলেন, গত চার-পাঁচ বছর ধরে বারোমাসি আম চাষের সঙ্গে জড়িত। এর আগে ভালো লাভবান না হলেও এবার আমের দাম ভালো হওয়ায় আমরা গত তিন মাসে প্রায় ২০ লাখ টাকার আম বিক্রি করেছি। আশা করছি সামনে ছয় থেকে আট মাসে আরও প্রায় ৩০ লাখ টাকার আম বিক্রি করব। তারা আরও বলেন, এখনো আমাদের বাগানে পাকা আম আছে। এই আমের সব কাস্টমার অনলাইনে অর্ডারের মাধ্যমে কুরিয়ারে পাঠানো হচ্ছে। গাছ থেকে নামানো আম ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। আমাদের বাগানে এখন কাটিমন, বারি-১১, দুই ধরনের সুস্বাদু আম আছে। বকুলের বাগানের শ্রমিক তুহিন বলেন, এ বাগানে সারা বছরই সুস্বাদু আম পাওয়া যায়। সেগুলো কার্টুনে করে দেশের বিভিন্ন স্থানে কুরিয়ার যোগে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

 রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী রেদুয়ান মুন বলেন, এ গ্রামেই আমার বাড়ি। রোজার প্রথম দিকে জানতে পারি বকুল ভাইয়ের বাগানে সুস্বাদু আম পাওয়া যাচ্ছে। তাই ইফতারিতে খাওয়ার জন্য ২ কেজি পাকা আম কিনতে এসেছি। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক শামসুল ওয়াদুদ বলেন, কাটিমন মৌসুমী আম না হওয়ায় চাহিদা বেশি। তার উপরে স্বাদ ভালো। এক সময় আমের চাষ শুধু দেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের কয়েকটি জেলায়ই সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু আম রুপালি ও কাটিমন দুটি জাতের প্রবর্তনের ফলে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে সাপাহারের নাম। তিনি আরও বলেন, কাটিমন আম আমাদের দেশের আবহাওয়া উপযোগী। আম রুপালির মতো ছোট গাছে আম হয়। এই জাতে প্রচুর আম ধরে। একই গাছে এক সঙ্গে মুকুল, ছোট, মাঝারি, বড়, পাকা আম থাকে। এই গাছে নতুন কুশি ছাড়লেই মুকুল আসে। এর কোনো সিজন আর অফ সিজন নেই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর