প্রায় পাঁচ বছর ধরে চলছে কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়ক ফোর লেনে উন্নীতকরণের কাজ। বর্ষার বৃষ্টিতে সড়কের গর্তে আটকে যায় যানবাহন। এখন গ্রীষ্মে ধুলায় ধূসর চারপাশ। এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও চাঁদপুরসহ অন্য জেলার যাত্রীরা। কাজ প্রায় শেষ হয়ে এলেও বাকি রয়েছে কুমিল্লার লাকসাম দৌলতগঞ্জ বাজার বাইপাস এলাকা ও লালমাই উপজেলার বাগমারা বাজার এলাকার ফোর লেনের কাজ। এখানে প্রতিনিয়ত যানজটে আটকা পড়ছে মানুষ। এ এলাকায় কবে বাইপাস হবে তারও ঠিক নেই। জায়গা অধিগ্রহণ উচ্ছেদ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতেই দুই বছর পার হয়ে গেছে। যাত্রী ও পরিবহন চালকদের সূত্র জানায়, প্রায় পাঁচ বছর ধরে কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের ফোর লেনের কাজ চলছে। ভাঙা সড়কে গাড়ি চালাতে গিয়ে সময় নষ্ট, যানজট আর গাড়ি বিকল হওয়ায় ক্ষুব্ধ পরিবহন মালিক এবং শ্রমিকরা। ভোগান্তিতে বিরক্ত যাত্রীরা। বেশি খারাপ অবস্থা হরিশ্চর থেকে শানিচৌঁ হয়ে আলীশ্বর অংশে। থেমে আছে লাকসামের চন্দনা বাজার এলাকার কাজ। এ ছাড়া জাঙ্গালিয়া ও টমছম ব্রিজ অংশে যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়ছেন। এদিকে কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের ফোর লেন প্রকল্পের গুরুত্বপূর্ণ অংশ লাকসামের দৌলতগঞ্জ বাজার বাইপাস ও লালমাই উপজেলার বাগমারা বাজার। এখানেই বেশি যানজটের সৃষ্টি হয়। দুই ঘণ্টার পথ পাড়ি দিতে সময় লাগছে পাঁচ ঘণ্টা। সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্র জানায়, কুমিল্লা নগরীর টমছম সেতু থেকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ পর্যন্ত ৫৯ কিলোমিটার ফোর লেনে উন্নীতকরণের কাজ চলছে। কাজ শেষ হলে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোসহ সারা দেশের মানুষ উপকৃত হবেন। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে শুরু হওয়া কাজ ২০২০ সালের জুন মাসে শেষ হওয়ার কথা। পরবর্তীতে চলতি বছরের জুনে শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়। তবে যে গতিতে কাজ চলতে এতে আগামী বছরও কাজ শেষ হওয়ার সম্ভাবনা কম। নোয়াখালীর সেনবাগের বাসিন্দা আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ফোর লেনের নোয়াখালী অংশে মহাসড়কের পাশে অনেক স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। তাই সেখানে কাজের গতি এসেছে। লাকসাম ও বাগমারা অংশেও পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। নতুবা এখানে যেভাবে গাড়ি আটকে তাকে তেমনি ফোর লেন প্রকল্পও যানজটে আটকে থাকবে। কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সাইফ উদ্দিন আহমেদ পাপ্পু বলেন, লাকসাম দৌলতগঞ্জ বাজার ও বাগমারা বাজারে প্রতিদিনই যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে ব্যবসায়ীরাসহ পরিবহন মালিক, যাত্রী সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। পাশাপাশি এখানে ট্রাফিক পুলিশিং ব্যবস্থা আরও জোরালো করা প্রয়োজন।
