মঙ্গলবার, ১০ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

মহাসড়কে বেপরোয়া গতির কারণে প্রতিনিয়ত বাড়ছে দুর্ঘটনা

নাটোর প্রতিনিধি

নাটোরের বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কে মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে। প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাচ্ছে অসংখ্য মানুষ। ঈদের পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় অর্ধ শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে সড়ক দুর্ঘটনায়। সর্বশেষ শনিবার সকাল ১১টায় মহিষভাঙ্গা এলাকায় গাজী অটোরাইস মিলের সামনে মহাসড়কে রাজশাহীগামী ন্যাশনাল পরিবহন ও ঢাকাগামী সিয়াম পরিবহনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে প্রাণ যায় সাত যাত্রীর। তাদের মধ্যে চার জন পুরুষ ও তিন জন নারী। এর আগে ২০১৪ সালের ২০ অক্টোবর বড়াইগ্রামের রেজুর মোড়ে বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক বাস দুর্ঘটনায় ৩৭ জনের অকাল মৃত্যু হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়কে দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান আশঙ্কাজনক হলেও তা রোধে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেই। বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতুর পশ্চিম গোলচত্বর থেকে সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল মোড় পর্যন্ত উত্তরাঞ্চল মহাসড়কটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। এই মহাসড়ক পথে প্রতিদিন ঘটছে অহরহ দুর্ঘটনা। এসব কারণে অসংখ্য মানুষের প্রাণহানির পাশাপাশি পঙ্গুত্ব বরণ করে মানবেতর জীবনযাপন করছেন অনেকে। স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ ও মহাসড়কটি চার লেনে রূপান্তরের দাবি-দুর্ঘটনার দিনই সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দুর্ঘটনাস্থলে এসে সারা দেশের মহাসড়কের তালিকাভুক্ত ১৭২টি বিপজ্জনক মোড়ের পাশাপাশি এ মোড়টিও সম্প্রসারণের প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু গত দুই বছরে জেলার  কয়েকটি মোড় সম্প্রাসরণ কাজ শুরু হলেও এ মোড়টি সম্প্রসারণের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। দক্ষিণবঙ্গ ও বৃহত্তর রাজশাহীর প্রবেশদ্বার খ্যাত দেশের ব্যস্ততম ৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ মহাসড়কটি আরও প্রশস্ত করে সড়কের মাঝখানে ডিভাইডার দিয়ে চার লেনবিশিষ্ট করাসহ মহাসড়কে গাড়ি দাঁড়ানো ও হাইওয়ে পুলিশের মাধ্যমে গতি নিয়ন্ত্রণ করা হলে দুর্ঘটনা অনেক কম হবে বলে মনে করেন স্থানীয়রা। দেশের সবচেয়ে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনার স্থানটিতে স্মৃতি হিসেবে কোনো নিদর্শন তৈরি করা হয়নি। এখানে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের দাবি ছিল শুরু থেকেই।

সর্বশেষ খবর