রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার কলিমোহর ইউনিয়নের গোপাল বিশ্বাস হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত বিদেশি পিস্তল, ম্যাগজিন, গুলি ও গুলির খোসাসহ তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করছে পুলিশ। গতকাল দুপুরে পাংশা মডেল থানার ওসি মো.মাসুদুর রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করে। তিনি বলেন, গত মঙ্গলবার রাতে পাংশা থানার পৃথক স্থানে অভিযান পরিচালন করে বাধন বিশ্বাস, আশিক শিকদার ও উর্মীকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয়। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র ছাড়াও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা ও চাঁদাবাজি করায় ব্যবহৃত দেশীয় তৈরি একটি ওয়ান শুটারগান, ১টি ম্যাগজিন, ১টি তাজা গুলি ও ফায়ারকৃত একটি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়।
৭.৬৫ বিদেশি পিস্তল দিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয় বলে জানায় পুলিশ। গ্রেফতারকৃত বাধন বিশ্বাস পাংশা থানার সরিষা ইউনিয়নের নওয়াবগ্রাম গ্রামের তুষার বিশ্বাসের ছেলে। আশিক একই এলাকার মন্টু শিকদারের ছেলে। পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, গোপাল বিশ্বাসের হত্যাকান্ডের রহস্য পুলিশ দ্রুত সময়ে উৎঘাটন করেছে। হত্যার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকার অভিযোগে গোপাল বিশ্বাসের শ্যালক বিজন সরকার ও গোপালের স্ত্রীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তারা হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এরপর পুলিশ হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারে তৎপর হয়। পরবর্তীতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রসহ আরও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। সুষ্ঠু তদন্ত করে দ্রুত সময়ের মধ্যে আদালতে পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন জেলা পুলিশের সর্বোচ্চ এই কর্মকর্তা। উল্লেখ্য গত বৃহস্পতিবার সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বাঁধা দেওয়ার কারণে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গোপাল বিশ্বাসের পেটে গুলি করা হয়। শনিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গোপাল বিশ্বাস মৃত্যুবরণ করেন। গোপাল হত্যাকান্ডের দায়ে এখন পর্যন্ত পাঁচ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।