শুক্রবার, ১৩ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

সার সংকটে চা চাষিরা

পঞ্চগড় প্রতিনিধি

সার সংকটে চা চাষিরা

পঞ্চগড়ের ক্ষুদ্র চা চাষিরা সার সংকটে পড়েছেন। হাট-বাজারে প্রয়োজন অনুয়ায়ী সার পাচ্ছেন না তারা। বিশেষ করে পটাশ সার পাওয়া যাচ্ছে না। সংশ্লিষ্টরা বলছেন প্রয়োজনের তুলনায় বরাদ্দ কম পাওয়ায় এই সংকট তৈরি হয়েছে। পঞ্চগড়ে চলছে চায়ের মৌসুম। চা চাষিরা এ সময় বাগানে বিভিন্ন সার প্রয়োগ করেন। অন্যদিকে পাট, বাদাম, তিল, ভুট্টাসহ নানা অর্থকরী ফসলের মাঠে সার প্রয়োগ করছেন সাধারণ কৃষকরা। এ ছাড়া জ্যৈষ্ঠ ও আষাঢ় মাস আমন ধান রোপণের সময়। তাই আমন ধানের বীজতলা উৎপাদনের জন্যও সারের প্রয়োজন। কিন্তু তারা প্রয়োজনীয় সার পাচ্ছেন না। এই সুযোগে ব্যবসায়ীরা বেশি দামে সার বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। চাষিরা বলছেন, সঠিক সময়ে বাগানে সার প্রয়োগ করতে না পারলে চায়ের উৎপাদন কমে যাবে। তেঁতুলিয়া উপজেলার তেলিপাড়া গ্রামের ক্ষুদ্র চা চাষি হাবিবুর রহমান বলেন, বাজারে বহু দোকান ঘুরেও সার মিলছে না। বিশেষ করে পটাশ সার পাওয়া যাচ্ছে না। এ সময় চা বাগানে সার দিতে না পারলে পাতা হবে না। ফলে আমরা লোকসানে পড়ব। জেলায় এবার পাট আবাদ হয়েছে ৮ হাজার ৭৫৫ হেক্টর জমিতে। বাদাম, ভুট্টাসহ অর্থকরী ফসলেরও চাষাবাদ হয়েছে। বিসিআইসি ও বিএডিসির নির্ধারিত সার ডিলাররা বলছেন, পঞ্চগড়ে কৃষি আবাদ বেড়ে গেছে। প্রতিনিয়ত বাড়ছে চায়ের আবাদ। ফলে সারের চাহিদা বাড়ছে। সে তুলনায় এই জেলায় বরাদ্দ কম। বাংলাদেশ চা বোর্ড পঞ্চগড় আঞ্চলিক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলায় নিবন্ধিত ক্ষুদ্র চা বাগান রয়েছে ১ হাজার ১৬৮টি। অনিবন্ধিত চা বাগান আছে ৬ হাজার। ৭ হাজার ২৮৩ একর জমিতে এই চা আবাদ হয়েছে। জেলায় শুধু চা চাষের জন্য বছরে ৪ হাজার মেট্রিক টন সার প্রয়োজন। কিন্তু এই চা বাগানের বিপরীতে বিসিআইসি ইউরিয়া ৩০০ মেট্রিক টন এবং বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশান (বিএডিসি) এবং বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিস করপোরেশন (বিসিআইসি) টিএসপি ১০০ মেট্রিক টন ও ডিএপি ২০০ মেট্রিক টনসহ মোট ৬০০ মেট্রিক টন সার বরাদ্দ দিয়েছে। তাই চা চাষিরা প্রয়োজনীয় সার পাচ্ছেন না।

 

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর