শনিবার, ১৪ মে, ২০২২ ০০:০০ টা
সংক্ষিপ্ত

এক মণ ধানেও মিলছে না একজন শ্রমিক

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার মাঠে মাঠে এখন পাকা ধান। শ্রমিক সংকটে ধান কাটতে পারছেন না কৃষক। পাইকারি বাজারে প্রতি মণ ভেজা ধান বিক্রি হচ্ছে ৮৫০-৯০০ টাকায়; যা গত বছরের চেয়ে প্রায় ২০০ টাকা কম। আর আবার একজন শ্রমিককেই দৈনিক মজুরি দিতে হচ্ছে ৮৫০ টাকা। তবুও মিলছে না শ্রমিক। সব মিলিয়ে বোরো ধান ঘরে তোলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলার একটি পৌরসভা ও ছয়টি ইউনিয়নে ১২ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। বৈশাখ মাসের প্রথম থেকেই উপজেলায় কালবৈশাখী ও শিলাবৃষ্টির কারণে অনেক কৃষক তড়িঘড়ি ধান কেটে ঘরে তোলার চেষ্টা করছেন। ইতোমধ্যে ঝড়বৃষ্টিতে পাকা ও আধাপাকা ধান গাছ ন্যুয়ে পড়ায় গাছে পচন ও ধানে চারা গজাতে শুরু করেছে। ফলে অনেকেই অতিরিক্ত মূল্য দিয়ে শ্রমিক নিয়ে আধাপাকা ধান কাটার চেষ্টা করছেন। তার পরও কৃষি শ্রমিকের সংকট দেখা দিয়েছে।

উপজেলার সান্তাহার ইউনিয়নের শফির উদ্দীন, রায়হান হোসেন ও নাহিদ জানান, মজুরি হিসেবে এক মণ ধানের দাম দিতে হচ্ছে। সঙ্গে থাকছে দুই বেলা খাবার। অন্যান্য খরচ তো আছেই। তবুও মিলছে না কৃষি শ্রমিক। দমদমা গ্রামের গুলজার রহমান বলেন, দুই বিঘা জমিতে ধান লাগিয়েছি। শ্রমিক না পাওয়ায় নিজেরাই ধান কাটতে নেমেছেন। নিমাইদীঘির কৃষক আখতারুজ্জামান জানান, কমবেশি সব এলাকায় বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। তাই শ্রমিকদের চাহিদা বেশি। ধান কাটার জন্য শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। উপজেলার ছাতিয়ানগ্রামের ধান ব্যবসায়ী মিলন হোসেন বলেন, ঘন ঘন বৃষ্টির কারণে ধানের দাম গত বছরের চেয়ে মণপ্রতি ১০০-১৫০ টাকা কমেছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মিঠু চন্দ্র অধিকারি জানান, এবার উপজেলায় ধানের ভালো ফলন হয়েছে। ভেজা ধানের দাম কম। তিনি ধান রোদে ভালোভাবে শুকিয়ে বিক্রির জন্য কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছেন।

সর্বশেষ খবর