রবিবার, ১৫ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

শ্রীমঙ্গলে বাণিজ্যিকভাবে পিঁয়াজ চাষ শুরু

শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি

শ্রীমঙ্গলে বাণিজ্যিকভাবে পিঁয়াজ চাষ শুরু

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে বাণিজ্যিকভাবে পিঁয়াজ চাষ করা হয়েছে। চলতি রবি মৌসুমে উপজেলার আশিদ্রোন, ভূনবীর ও সদর ইউনিয়নে ৫০ জন কৃষক ১৭ হেক্টর জমিতে পিঁয়াজ চাষ করেছেন। এর মধ্য ১০ জন কৃষককে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে পিঁয়াজ চাষের জন্য প্রদর্শনী প্লট দেওয়া হয়েছে। আর ৪০ জন কৃষককে দেওয়া হয়েছে প্রণোদনা। চাষকৃত পিঁয়াজ বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন কৃষকরা। স্থানীয় কৃষকরা আগামীতে এ উপজেলায় আরও অধিক পরিমাণ জমিতে পিঁয়াজ চাষের স্বপ্ন দেখছেন। উপজেলা কৃষি অফিস মনে করে, পিঁয়াজ চাষ বৃদ্ধি পেলে একসময় এ উপজেলার কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পিঁয়াজেই স্থানীয় চাহিদা মেটাতে পারবেন। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে জানা যায়, দেশে পিঁয়াজের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য গত বছর এ উপজেলায় ১২ জন কৃষককে দিয়ে পরীক্ষামূলক পিঁয়াজ চাষ করানো হয়েছিল। ফলন ভালো হওয়ায় এ বছর কৃষকরা বাণিজ্যিকভাবে পিঁয়াজ চাষ শুরু করেছেন। কৃষকরা তাদের জমিতে উচ্চ ফলনশীল বারী-১, তাহেরপুরী ও লালতীর টুয়েন্টি জাতের পিঁয়াজ বীজ রোপণ করেছিলেন। বারী-১ ও তাহেরপুরী বীজ নিয়ে আসা হয়েছিল যশোর থেকে। ফলন খুব ভালো হয়েছে। ১৭ হেক্টর জমি থেকে উৎপাদন হয়েছে ১৬৭ মণ পিঁয়াজ। হেক্টরপ্রতি উৎপাদন হয়েছে ৯.৮২ টন। পারেরটং গ্রামের কৃষক নাজমুল হাসান জানান, তিনি এবার প্রথম পিঁয়াজ চাষ করেছেন। দুই বিঘা জমি থেকে তিনি ২২ মণ পিঁয়াজ পেয়েছেন। প্রতি কেজি বিক্রি করেছেন ২৭-২৮ টাকা করে।   সাইটুলা গ্রামের আহসান হাবিব জানান, তিনি গত বছর এক শতক জমিতে পরীক্ষামূলক পিঁয়াজ চাষ করেছিলেন। ফল ভালো পাওয়ায় এ বছর এক কেয়ার জমিতে চাষ করেছেন। ২৫ মণ পিঁয়াজ পেয়েছেন। প্রতি কেজি বিক্রি করেছেন ২৮-৩০ টাকা করে। তার মোট বিক্রি হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। জমিতে খরচ হয়েছিল ৮ হাজার টাকা।

অনান্য ফসল থেকে পিঁয়াজ চাষ লাভজনক হওয়ায় আমাগী বছর তিনি আরও বেশি জমিতে পিঁয়াজ চাষ করবেন বলে জানান। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফার ইয়াসমিন মোনালিসা সুইটি বলেন, এ উপজেলায় মাটি ও আবহাওয়া পিঁয়াজ চাষের জন্য খুবই উপযোগী। আর পিঁয়াজ হচ্ছে একটি লাভজনক কৃষিপণ্য। প্রতিদিনই বাজারে এ পণ্যের চাহিদা রয়েছে। শ্রীমঙ্গলে পিঁয়াজের ফলন দেখে কৃষকরা আরও আগ্রহী হচ্ছে। আগামীতে এ কৃষকদের সঙ্গে অন্য কৃষকরাও আরও বেশি পরিমাণ জমিতে পিঁয়াজ চাষ করবে। আর এভাবে পিঁয়াজ চাষ বৃদ্ধি পেতে থাকলে দুই-চার বছরের মধ্যে কৃষকরা নিজেরা উৎপাদন করেই এখানকার পিঁয়াজের চাহিদা মেটাতে পারবে।

সর্বশেষ খবর