ভরা মৌসুম না হলেও চাঁদপুরের পাইকারি বাজারগুলোতে বেড়েছে ইলিশের সরবরাহ। নিম্নচাপের প্রভাবে দেশের নিম্নাঞ্চল থেকে ঘাটে কিছু ইলিশ আসলেও তা বেশিদিন থাকবে না বললেন, মৎস্য বণিক সমিতির কর্মকর্তারা। বেশি পরিমাণ বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢল ও পানির স্রোত বাড়লে মিঠা পানির প্রভাবে তখন ইলিশের আমদানী ঘটে। চাঁদপুর বড় স্টেশনের ব্যবসায়ী সম্রাট হোসেন ও কৃষ্ণ চন্দ্র দে জানান, এখন ইলিশের সরবরাহ কিছুটা বেড়েছে। যদিও গত ২/৩ দিনের তুলনায় আজ আমদানী অনেক কম। এখান থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানের বাজারে ইলিশের চালান হয়ে থাকে। দাম ভালো পাওয়ায় সাগরসহ নিম্নাঞ্চলের জেলাগুলো থেকে জেলেরা ইলিশ নিয়ে চাঁদপুরের পাইকারি বাজারে আসেন। ইলিশের ভরা মৌসুম না হলেও আকারভেদে ইলিশের দরদামে আমরা সন্তুষ্ট। চাঁদপুর বড় স্টেশন পাইকারি বাজারে গত তিন দিন ইলিশের সরবরাহ ছিল গড়ে ৮০০ মণের বেশি। তবে ১ কেজি থেকে ১২০০ গ্রামের ইলিশের পাইকারি দাম ১৭০০ থেকে ১৮০০ টাকা কেজি। ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রামের ইলিশ ১৫০০ থেকে সাড়ে ১৫০০ টাকা কেজি। আর ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রামের ইলিশ ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমিতির সভাপতি আব্দুল বারী জমাদার(মানিক) বলেন, গেল কয়েকদিন আগে নিম্নচাপের প্রভাবে চাঁদপুর পাইকারি মাছ বাজারে ইলিশের সরবরাহ কিছু বাড়লেও তা বেশিদিন থাকছে না। খুব বেশি পরিমাণ বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢল, সেই সঙ্গে পানির ঘূর্ণায়মান স্রোত বাড়লে মিঠা পানির প্রভাব দেখা দিলে তখন নদীতে ইলিশের আমদানী ঘটে থাকে।