বুধবার, ১৮ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

খাল খননে জলাবদ্ধতা নিরসন চাষের আওতায় বিপুল জমি

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

খাল খননে জলাবদ্ধতা নিরসন চাষের আওতায় বিপুল জমি

মধুপুর উপজেলার অরণখোলা, কুড়াগাছা ও আউশনারা ইউনিয়নের দেড় হাজার একর জমি আবাদযোগ্য করা এবং অর্ধলাখ মানুষকে জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষায় খিরাই ও গুজা খাল খনন করেছে বিএডিসি। সাড়ে ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ এ দুই খাল দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় কৃষিজমিতে জলাবদ্ধতায় ফসলের ক্ষতি হতো। খাল খননে এলাকাবাসী সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। মধুপুর বিএডিসি-সূত্রে জানা যায়, দুটি খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় দেড় হাজার একর জমির পানি পাশের হাওদা বিলে নিষ্কাশিত হতে পারত না। ভারী বর্ষণে এ জমিতে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হতো। জমি জলাবদ্ধ থাকায় রোপা আমন আবাদ করা যেত না। কৃষকের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে খাল দুটি খননের উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি)। চলতি অর্থবছর বিএডিসির চলমান ‘ময়মনসিংহ বিভাগ ও ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইল ও কিশোরগঞ্জ জেলার ক্ষুদ্র সেচ উন্নয়ন প্রকল্প’-এর আওতায় ৪৫ লাখ টাকা ব্যয়ে সাড়ে ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ খিরাই ও ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৬ কিলোমিটার গুজা খাল পুনঃখনন করা হয়। স্থানীয় ইউপি সদস্য মজিবুর রহমান বলেন, ‘খননের ফলে খালের গভীরতা বাড়ায় জলাবদ্ধতা নিরসনের পাশাপাশি রোপা আমন ও বোরো মৌসুমে পর্যাপ্ত পানি প্রবহমান থাকবে। শুকনো মৌসুমে এ পানি কৃষক সেচকাজে ব্যবহার করতে পারবে। উৎপাদন খরচও কমবে।’ বিএডিসির (ক্ষুদ্র সেচ) প্রকল্পের টাঙ্গাইল জোনের সহকারী প্রকৌশলী আশিক জামান বলেন, ‘খাল খননে হাওদা বিলের অনেকদিনের জলাবদ্ধতা দূর হয়েছে। এখন বোরো ধান কৃষক নির্বিঘ্নে ঘরে তুলতে পারবে।’ বিএডিসির এমন উদ্যোগে উপকারভোগী তিন ইউনিয়নের কৃষক সন্তোষ প্রকাশ করেছে। বিএডিসি ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইল ও কিশোরগঞ্জের ক্ষুদ্র সেচ উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী বদরুল আলম বলেন, ‘কৃষিমন্ত্রীর নির্দেশনায় খিরাই ও গুজা খাল পুনঃখননের উদ্যোগ নেওয়া হয়। স্থানীয় এমপি কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল খনন এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে মধুপুরে খিরাই ও গুজা খাল খননে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিএডিসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়।’

সর্বশেষ খবর