বুধবার, ১৮ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

খানাখন্দে ভরা ১৩ কিমি সড়ক

রাশেদ খান, মাগুরা

খানাখন্দে ভরা ১৩ কিমি সড়ক

মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার হরেকৃষ্ণপুর থেকে পলাশবাড়ীয়া ইউনিয়নের কালিশংকরপুর পর্যন্ত প্রায় ১৩ কিলোমিটার রাস্তা খানাখন্দে ভরে গেছে। কোথাও কোথাও নেই পাকা রাস্তার সামান্য চিহ্নও। ফলে চলাচলে ভোগান্তিতে পড়েছেন উপজেলার চার ইউনিয়নের প্রায় ৭০ গ্রামসহ আশপাশের মানুষ। শুষ্ক মৌসুমে এ সড়ক যেমন ধুলোয় ধূসর হয়ে থাকে তেমনি বর্ষাকালে কাদা-পানিতে একাকার হয়ে যায়। এ কারণে চলাচলকারীরা প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হন। মাগুরা সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের ছাত্র বালিদিয়া গ্রামের বাসিন্দা স্বাধীন বলেন, মহম্মদপুর উপজেলার সঙ্গে নড়াইলের লোহাগড়ার যোগাযোগের একমাত্র সড়ক এটি। হরেকৃষ্ণপুর থেকে উপজেলার শেষ সীমানা পর্যন্ত প্রায় ১৩ কিলোমিটার এই সড়কের পুরাটায় কার্পেটিং উঠে খোয়া বের হয়ে গেছে। বিভিন্ন স্থানে সড়কের মাঝখানে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। এই সড়কে একটি গাড়ি বিপরীতমুখী গাড়িকে জায়গা দিতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছে। প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। তারপরও মানুষ জীবিকার তাগিদে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন। নির্ধারিত পরিবহনগুলো নিয়মিত না আসায় স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী ও চাকরিজীবীরা সময়মতো যাতায়াত করতে পারছে না। এলাকার কেউ অসুস্থ হলে তাকে উপজেলা সদর বা জেলা হাসপাতালে নিতে নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। ওলিয়ার রহমানসহ কয়েকজন কৃষক জানান, তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য বিক্রির জন্য বিভিন্ন হাটবাজারে নিতে হয়। ভাঙাচোরা সড়কের কারণে ভ্যান বা নসিমন চালকরা যেতে চান না। আবার গেলেও কয়েকগুণ বেশি ভাড়া দিতে হয়। কয়েকজন ভ্যানচালক বলেন, ভাঙা রাস্তার জন্য ভ্যানে বেশি মাল নেওয়া যায় না। ভ্যানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কী করব পেটের দায়ে বাধ্য হয়ে ভাঙাচোরা রাস্তায়ই ভ্যান চালাতে হচ্ছে। পলাশবাড়িয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল করিম চুন্নু বলেন, লাখো মানুষের উপজেলা সদরে যাতায়াতের একমাত্র সড়কটি তিন-চার বছর আগেই সংস্কার করা দরকার ছিল। সেটা না করায় এখন একেবারে চলার অযোগ্য হয়ে পড়েছে। চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এলাকার মানুষের। এ ছাড়া এই এলাকায় প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও মাদরাসাসহ ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার শিক্ষার্থী ১৩ কিলোমিটার সড়কের কারণে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। সড়ক ও জনপথ-সওজ বিভাগের পরিদর্শক জাকির মিয়া বলেন, উপজেলার সদর থেকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার এই সড়ক সংস্কারের জন্য ইতোমধ্যে ১৩ কোটি টাকার টেন্ডার হয়েছে। আশা করছি, অল্পদিনের মধ্যে কাজ শুরু হবে।

সর্বশেষ খবর