বৃহস্পতিবার, ১৯ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

ছয় বছরেও শেষ হয়নি সেতু নির্মাণ, স্থানীয়দের দুর্ভোগ

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

ছয় বছরেও শেষ হয়নি সেতু নির্মাণ, স্থানীয়দের দুর্ভোগ

সদর উপজেলার রত্নাই নদীর ওপর নির্মাণাধীন সেতুর কাজ সাড়ে ছয় বছরেও শেষ হয়নি। এতে মোগলহাট ইউনিয়নের ১০ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। বর্ষায় তাদের ভোগান্তি আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মেঘারাম গ্রামের কৃষক কাদের আলী বলেন, ‘ইঞ্জিনিয়ার আইসে ইঞ্জিনিয়ার চলি যায় কিন্তু হামার ব্রিজটা আর হয় না। হামাকগুলাক শুধু আশার গল্প শোনায়।’ তিনি বলেন, ‘ব্রিজটা কমপ্লিট না হওয়ার জইন্যে হামরাগুলা খুব কষ্টোত আছোং। ম্যালা দূর ঘুরিয়া হাটবাজার যাবার নাগে।’

দুড়াকুটি গ্রামের মণীন্দ্রনাথ রায় বলেন, ‘হামারগুলার সঙ্গে কন্টাক্টর আর ইঞ্জিনিয়ার তামশা খেলবার নাইগছে। সাড়ে ছয় বছর থাকি হামাকগুলাক এ-কথা কয়া ও-কথা কয়া ঘুইরবার নাইগছে। ব্রিজখান আর করি দিবার নাইগছে না। ব্রিজখানের কাজ যদি কোনোরকমে হইলে তা ফির রাস্তা হয় নাই। এই ব্রিজ দিয়া হামরা চলাচল কইরবার পাবার নাইকছোং না।’ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) অফিস সূত্র জানান, এলজিইডির অধীন ৬ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে রত্নাই নদীর ওপর ১২০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৮ মিটার প্রস্থের সেতুটির কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে। ২০১৮ সালের মে মাসে নির্মাণ সম্পন্ন করার চুক্তি হয়। বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সেতুর কাজ ১০ দফা পেছায়। ২০২১ সালের নভেম্বরে সেতুর মূল অবকাঠামো নির্মাণ সম্পন্ন হলেও ফিনিশিং, রঙের কাজসহ সংযোগ সড়ক নির্মাণকাজ বাকি রয়েছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, রত্নাই সেতু নির্মাণে গাফিলতি রয়েছে এলজিইডি কর্তৃপক্ষ ও ঠিকাদারের। দীর্ঘদিনেও সেতুটি চলাচলের উপযোগী না হওয়ায় এখনো নৌকায় নদী পাড়ি দিতে হচ্ছে তাদের। মোগলহাট ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, ‘অনেক তাগাদা দিয়ে সেতুর অবকাঠামোর নির্মাণকাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। এখন সংযোগ সড়ক নির্মাণ নিয়ে চলছে টালবাহানা। এ ব্যাপারে এলজিইডি কর্তৃপক্ষকে তাগিদ দেওয়া হচ্ছে।’ লালমনিরহাট এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মঞ্জুর কাদের এলাহী বলেন, ‘জমি জটিলতার কারণে সংযোগ সড়ক নির্মাণ পিছিয়ে গেছে। সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় ঠিকাদারকে এখনো পুরো বিল পরিশোধ করা হয়নি।’

সর্বশেষ খবর