শনিবার, ২১ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

এমপির বিরুদ্ধে শিক্ষক লাঞ্ছনার অভিযোগ

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ সরকারি মাহতাব উদ্দীন কলেজের শিক্ষক সাজ্জাদ হোসাইনকে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার লাঞ্ছিত করেছেন। এই অভিযোগ করেন কলেজের অধ্যক্ষ।

অধ্যক্ষ ড. মাহবুবুর রহমান পুলিশ সুপারকে লিখিতভাবে জানান, এমপি আনার বৃহস্পতিবার বিকালে কলেজে ঢুকে গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসাইনকে তুই শিবির করিস বলে কানে-মুখে চড়-থাপ্পড় মারতে থাকেন এবং শিক্ষকদের কমনরুমে নানা রকম হুমকি-ধমকি দিয়ে চলে যান। 

অধ্যক্ষ জানান, কলেজ থেকে সরকারি খাতা চুরির বিষয় নিয়ে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশক্রমে একটি চুরির মামলা করা হয় আদালতে। মামলাটি বর্তমান সিআইডি তদন্ত করছে। এই মামলার সাক্ষী আছেন সাজ্জাদ হোসেন। তাই তার ওপর ক্ষুব্ধ আসামিরা। আসামিরাও এই কলেজে চাকরি করেন। এ কারণে বহিরাগতদের ডেকে নিয়ে খাতা চুরি মামলার আসামি রকিবুল ইসলাম মিল্টনসহ অন্যরা তাকে চড়-থাপ্পড় মারেন।

অধ্যক্ষ কলেজের কাজে সহকারী অধ্যাপক মোশাররফ হোসেনকে সাময়িক ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব দেওয়ার পর নন এমপিও ৬১ নম্বর সিরিয়ালধারী জুনিয়র প্রভাষক সুব্রত কুমার নন্দী ও খাতা চুরির মামলার আসামি সাবেক উপাধ্যক্ষ আবদুল মজিদ মন্ডল চুরির ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য বহিরাগত, কলেজের স্টাফ সবুজ ও পিয়ন তাপসের সহায়তায় ত্রাস সৃষ্টি করে এবং সহকারী অধ্যাপক  মোশাররফকে লাঞ্ছিত করেন।

মোশাররফ হোসেন বলেন, দুদকের একটি ফাইল হাতিয়ে নিতে সুব্রত ও অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবদুল মজিদ মন্ডল তাকে অপমান অপদস্ত এমনকি মারধর করতে উদ্যত হন। কিন্তু এ ধরনের একটি সরকারি ডকুমেন্ট নিতে হলে কালীগঞ্জ ইউএনওর সম্মতি ছাড়া দিতে পারবেন না বলে তাদের সাফ জানিয়ে দেন। পরে বিকাল পৌনে ৫টায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে আনোয়ারুল আজীম আনার এমপি মোবাইল ফোনে জানান, কলেজে গিয়ে সব শিক্ষক-কর্মচারীর উপস্থিতিতে তাদের ধমক দিয়ে এসেছি এবং দুদকের মামলাটি কোর্ট থেকে যেহেতু শেষ হয়ে গেছে সেহেতু মীমাংসিত মামলার কাগজপত্র লিখিত নিয়ে দিয়ে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। কিন্তু লাঞ্ছিতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। এটা শুনতেও লজ্জা লাগছে। এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার ওসি আবদুর রহিম মোল্লা বলেন, কলেজের বিষয়টি তাকে কেউ জানাননি। তাই তিনি কিছুই জানেন না। অধ্যক্ষ তাকে জানানোর পরও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি কেন এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি ফোনটি কেটে দেন।

সর্বশেষ খবর