রবিবার, ২২ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

১৮ বছরেও সংস্কার হয়নি

২০০৪ সালের বন্যায় ভেঙে যায় সড়কের বিভিন্ন স্থান

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

১৮ বছরেও সংস্কার হয়নি

বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে বন্যায় ভেঙে যাওয়া সড়ক -বাংলাদেশ প্রতিদিন

১৮ বছরেও সংস্কার হয়নি বগুড়ার সারিয়াকান্দির বোহাইল ইউনিয়নের শংকরপুর-ধারাবর্ষা সড়ক। দেড় যুগ আগের বন্যায় কয়েকটি স্থানে দেখা দেয় ভাঙন। এরপর আর মেরামত হয়নি। ফলে চরম দুর্ভোগে পোহাচ্ছেন পাঁচ গ্রামের ২২ হাজার মানুষ। স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, শংকরপুর-ধারাবর্ষা সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। সড়কটির দৈর্ঘ্য আনুমানিক ১২ কিলোমিটার। এটি নির্মিত হয় ২০০৩ সালে। পরের বছর ২০০৪ সালের বন্যায় দক্ষিণ শংকরপুর অংশে দুটি স্থান ভেঙে বিশাল গর্ত সৃষ্টি হয়। এরপর ভাঙা অংশে কোনো মেরামত কাজ হয়নি বা সেতু নির্মাণ করা হয়নি। সড়কে ভাঙা অংশে কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারে না। বর্ষা মৌসুমে এ অংশে নৌকা দিয়ে মালামাল এবং পথচারীরা পারাপার হন। শুকনো মৌসুমে জমির আইল দিয়ে চলাচল করতে হয়। এলাকার শিক্ষার্থীরা সময় মতো বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে পারে না। দক্ষিণ শংকরপুর গ্রামের মজনু মিয়া বলেন, জিন্দেগিতে মনে হয় এই ভাঙা সড়ক ঠিক হবে না। ফসল ঘাড়ে নিয়ে আমরা সড়ক দিয়ে পার করি। দক্ষিণ শংকরপুর বাজারের ব্যবসায়ী সাদ্দাম হোসেন বলেন, দোকানের মালামাল পরিবহন করতে কত সমস্যা হয় তা বলে বোঝানো যাবে না। বারবার পরিবহন পরিবর্তনের জন্য মালের ক্রয়মূল্য বেশি পড়ে যায়। তাছাড়া নৌকা দিয়ে পারাপারের সময় কখনো পানিতে পড়ে মালামাল নষ্ট হয়। বোহাইল ইউপির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য শফিকুল ইসলাম বলেন, সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে ভাঙা। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু আজও সড়ক মেরামতের কোনো সুখবর পাওয়া যায়নি। ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান খান বলেন, ভাঙা অংশে সেতু করে দিলে মোটামুটি চলাচলের উপযোগী হবে। সড়কটির বিভিন্ন অংশে খানাখন্দও রয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। সারিয়াকান্দির ইউএনও রেজাউল করিম বলেন, চরাঞ্চলের মানুষের যাতায়াত সহজ করার জন্য সড়কটি মেরামতের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর