বুধবার, ২৫ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

হাটকৃষ্ণপুরে বেহাল সড়ক

কামরুজ্জামান সোহেল, ফরিদপুর

হাটকৃষ্ণপুরে বেহাল সড়ক

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার প্রধান ব্যবসা কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত হাটকৃষ্ণপুর বাজারের মূল রাস্তাটি বেহাল অবস্থায় রয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতেই পুরো রাস্তায় হাঁটু পানি জমে যায়। তাছাড়া পানি-কাদায় সয়লাব থাকে বেশির ভাগ সময়। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি খারাপ থাকায় বাজারে আসা হাজারো মানুষ চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়ছে। এ নিয়ে স্থানীয়রা একাধিকবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ধরনা দিয়েও কোনো প্রতিকার পাননি। স্থানীয় এলাকাবাসী ও হাটকৃষ্ণপুর বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, হাটকৃষ্ণপুর জিসি তালমা আরএনএইচ সড়কের সদরপুর অংশের প্রায় ২ হাজার মিটার সড়ক সংস্কারের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর থেকে ৩ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। পরে গত বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি টেন্ডারের মাধ্যমে কাজটি পায় ফরিদপুরের এসএস ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি পায়। শিডিউল মোতাবেক গত বছরের ৫ নভেম্বর সড়ক সংস্কারের কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সড়কটির প্রায় ৪০০ মিটার এখনো কোনো সংস্কার হয়নি। ফলে চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে এ সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারি হাজারো মানুষ। বিশেষ করে হাটকৃষ্ণপুর বাজারে আসা লোকজন চরম বিড়ম্বনার মধ্যে পড়ছেন। বাজারের ব্যবসায়ীরা বর্তমানে ব্যবসা করতে পারছেন না। মালপত্র আনা-নেওয়ার জন্য ট্রাকও ঠিকমতো আসতে পারছে না এ হাটে। ফলে বাজারের বড় ব্যবসায়ীরা পাট, পিঁয়াজসহ পণ্যদ্রব্য আনা-নেওয়া করতে পারছেন না। ফলে তাদের পরিবহন খরচ বেড়েছে কয়েক গুণ। বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী অভিযোগ করে জানান, প্রতি বছর হাটকৃষ্ণপুর বাজার থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করা হয়। ব্যবসায়ীরা এ বাজার থেকে ট্রাকে করে পণ্য ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যান। রাস্তা খারাপ থাকার কারণে অনেক ব্যবসায়ী বাজার থেকে ছোট যানবাহনে করে দূরবর্তী স্থানে নিয়ে গিয়ে ট্রাকে মালামাল তোলেন।

ফলে তাদের খরচ হয় অনেক বেশি। স্থানীয়দের অভিযোগ, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বাজারের আরসিসিকরণের গাইডওয়াল ও কিছু ভাঙাচোরা স্থানে খোয়া ফেলে কাজ বন্ধ রেখেছেন। ফলে ব্যবসায়ীদের দুর্ভোগের শেষ নেই। কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার মো. সিদ্দিকুর রহমানের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, বাজারের কালিখোলা এলাকায় ২০ ফুট রাস্তা করার মতো জায়গা নেই।

জায়গার সমস্যার সমাধান হলে কাজ শুরু করা হবে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দফতরে জানানো হয়েছে। সদরপুর উপজেলা প্রকৌশলী আবদুল মোমিনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ঠিকাদারকে কাজ করার জন্য বারবার তাগাদা দেওয়া হচ্ছে। তারপরও ঠিকাদার কাজ করছেন না। কিছুটা স্থানে জায়গার সমস্যা রয়েছে বলে জানান তিনি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর