সাতক্ষীরা পৌরসভার মেয়রের বিরুদ্ধে দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগের পর এবার নির্বাচনী হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পৌর আইন অনুযায়ী এসব অভিযোগে মেয়রের পদে থাকার যোগ্যতা হারাতে পারেন তাসকিন আহমেদ চিশতি। নির্বাচনী হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দেওয়ায় মেয়র চিশতির বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন সাতক্ষীরা রাজারবাগান এলাকার বাসিন্দা আব্দুল লতিফের পুত্র নুরুল ইসলাম। অভিযোগে তিনি জানান, মেয়র তাসকিন নির্বাচনী হলফনামায় শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের এলএলবি সনদপত্র দাখিল করেছেন। অথচ ২০১৬ সালে দারুল ইহসানের সব সনদপত্র অবৈধ বলে ঘোষণা করে সরকার। হলফনামায় পেশা হিসেবে শিক্ষকতা, চিকিৎসা ও আইনি পরামর্শক হিসেবে উল্লেখ করেছেন। সেখান থেকে তিনি প্রতি বছর ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা আয় করেন। তিনি শিক্ষকতা করেন না, আইনজীবীও নন আবার চিকিৎসকও নন। জজ কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট আবদুুল লতিফ বলেন, মেয়র তাসকিন আহমেদ চিশতী আইনজীবী নন।
আর আইনজীবীর না হলে কেউ আইনি পরামর্শ দিতে পারেন না। হলফনামায় তথ্য গোপন করে মিথ্যাচার করায় স্থানীয় সরকার পৌরসভা আইন ২০০৯ এর ১৯। (২) (ছ) এবং ৩ উপধারা অনুসারে তিনি মেয়র পদে অযোগ্য। সাতক্ষীরা জেলা নির্বাচন অফিসের সদ্য বিবাদী নির্বাচন কর্মকর্তা নাজমুল হোসেন বলেন, কেউ তথ্য গোপন করলে সেটি নিয়ে এখন নির্বাচন কমিশনের কিছু করার নেই। এটি নিয়ে কেউ বিক্ষুব্ধ হলে তিনি আদালতে মামলা করতে পারেন। এর আগে সাতক্ষীরা পৌরসভার মেয়র বিএনপি নেতা তাসকিন আহমেদ চিশতি ভুয়া বিল ভাউচার করে পৌরসভার ৩ কোটির টাকা আত্মসাৎ করেন। ৭৬ লাখ ৫৬ হাজার ৯০২ টাকা বিধি বহির্ভূতভাবে পানির বিল মওকুফ, ১ কোটি ৩৩ লাখ ৩ হাজার ২২১ টাকা পৌর কর মওকুফ, বিগত ছয় বছরে নিজ দলীয় কর্মীদের পৌরসভা ফান্ড থেকে ১ কোটি ৮ লাখ ৮৯ হাজার ৭৪৮ টাকা আর্থিক সাহায্যের নামে আত্মসাৎ করার ঘটনায় আলোচনায় আসে। এসব অভিযোগে গত ১৩ জানুয়ারি সাতক্ষীরা পৌরসভার ১১ জন কাউন্সিলর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছিলেন।
