মাদারীপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় হাতবোমার বিস্ফোরণ ও মসজিদসহ অন্তত পাঁচটি বসতঘরে ভাঙচুর চালানো হয়। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ১৫ জন আহত হন। শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে শহরের সৈদারবালী এলাকায় দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে তিনজনকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পৌরসভার সৈদারবালী ও শকুনি এলাকার কিশোরদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছে। কিছুদিন আগে সৈদারবালীর সেকেন হাওলাদারের ছেলে রোমান শকুনি এলাকায় গেলে সাগর মুনশি ও তার সহযোগীরা তাকে মারধর করেন। এর কিছুদিন পর শকুনি এলাকার তুষার হোসেন মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হলে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। গতকাল সাগর মুনশির লোকজন হাসপাতালে তুষারকে দেখতে গেলে রোমানের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সাগর মুনশি ও রোমান হাওলাদারের সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়ান। এতে তিনজন টেঁটাবিদ্ধসহ আহত হন অন্তত ১৫ জন। এ সময় কয়েকটি হাতবোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়। ভাঙচুর করা হয়েছে স্থানীয় একটি মসজিদসহ পাঁচটি বসতঘর। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মাদারীপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক রিয়াদ মাহামুদ বলেন, ‘সংঘর্ষে আহত ৮-৯ জনকে হাসপাতালে আনা হয়। তাদের মধ্যে তিনজন টেঁটাবিদ্ধ। তাদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। এখানে ছাড়াও অন্য হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে কয়েকজন। আহত প্রত্যেকের শরীরে দেশীয় অস্ত্রে জখম রয়েছে।’ সদর মডেল থানার ওসি মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, ঘটনাস্থল থেকে চারজনকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। মামলা হলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
