শনিবার, ৪ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

চার ইউনিয়নের মানুষের চলাচলের ভরসা সাঁকো

মনিরুল ইসলাম মনি, সাতক্ষীরা

চার ইউনিয়নের মানুষের চলাচলের ভরসা সাঁকো

চার ইউনিয়নের প্রায় ৬৫ গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা কাশিয়াডাঙ্গা-ত্রিমোহিনী বাঁশের সাঁকো। সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়ন এবং যশোরের ত্রিমোহনী বাজার সংলগ্ন কপোতাক্ষ নদের ওপর অবস্থান এ সাঁকোর। স্বাধীনতার ৫১ বছরেও এখানে হয়নি সেতু।  ২০০১ সালে কাশিয়াডাঙ্গা ও ত্রিমোহিনী এলাকাবাসী যশোরের মনিরামপুর, কেশবপুর এবং সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার যোগাযোগে একমাত্র মাধ্যম হিসেবে কপোতাক্ষ নদের ওপর বাঁশ, কাঠ ও খুঁটি দিয়ে নির্মাণ করেন সাঁকো। ৪ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত সাঁকোটি এখন জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। জীবনের ঝুঁঁকি নিয়ে ২৭৫ ফুট দীর্ঘ সাঁকো দিয়ে চলাচল করছেন এখানকার মানুষ। ঝড়, বর্ষার সময় প্রতিনিয়ন ঘটছে দুর্ঘটনা। জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, এখানে পাকা সেতু নির্মাণ হলে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরের সঙ্গে যশোর জেলা শহরের দূরত্ব কমবে প্রায় ২০ কিলোমিটার। এ ছাড়া কেশবপুর ও মনিরামপুর উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে যেমন সুফল পাওয়া যাবে তেমনি চাঙ্গা হবে গ্রামীণ অর্থনীতি। কলারোয়া উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু, ত্রিমোহিনী ইউপি চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান ও দেয়াড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহাবুব রহমান জানান, এ অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষের পারাপারের একমাত্র মাধ্যম হিসেবে সাঁকোটি ব্যবহার হয়।

বর্তমান সরকারের সময়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গ্রাম্য অবকাঠামো উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকলেও এর ছোঁয়া লাগেনি সাতক্ষীরা ও যশোর সীমান্তের এ এলাকায়। সেতু নির্মাণ হলে কমবে জনদুর্ভোগ, প্রসার ঘটবে ব্যবসা-বাণিজ্যের, সে আশায় বুক বেঁধে আছেন কপোতাক্ষপারের মানুষ। সাধারণ মানুষের কাছে ব্রিজটি নির্মাণ সময়ের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে। কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জুবায়ের হোসেন চৌধুরী জানান, এলাকাবাসীর জনদুর্ভোগ লাঘবে ব্রিজটি নির্মাণ অত্যন্ত জরুরি। এ জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো), স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে জানানো হবে।

সর্বশেষ খবর