সোমবার, ৬ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার প্রভাব পড়েছে হোটেলের খাবারে

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার প্রভাব পড়েছে হোটেলের খাবারে

নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার প্রভাব পড়েছে হোটেলের খাবারেও। হোটেল আর রেস্তোরাঁগুলোতে বাড়ানো হয়েছে সকাল, দুপুর ও বিকালের নাস্তা ও খাবারের দাম। বেশির ভাগ রেস্টুরেন্টে সকালের নাস্তাসহ দুপুর ও রাতের খাবারের দাম এখন সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। কোনো কোনো হোটেল মালিক দাম না বাড়ালেও কমিয়ে দিচ্ছে খাবারের পরিমাণ। সব মিলে খাবারের হোটেলে স্বস্তি নেই ভোক্তাদের। জীবিকার তাগিদে অনেকেই রাস্তাঘাটের হোটেলে খেতে যায়। কিন্তু সেখানেও হানা দিয়েছে দ্রব্যমূল্য। সেইসঙ্গে বদলে গেছে মূল্য তালিকা। শহরের বিভিন্ন ছোট-বড় হোটেল রেস্তোরাঁয় ঘুরে দেখা গেছে, সকালের নাস্তা সাত টাকার পরোটা এখন ১০ টাকা, সাত টাকার লুচি ১০ টাকা, সিদ্ধ আটার রুটিও ১০ টাকা, আলুর শিঙাড়া ছয় টাকার জায়গায় পরিমাণ কমিয়ে সাত টাকা, ১২ টাকার কলিজার শিঙাড়া ১৫ টাকা, সমুচা ১২ টাকা। আর ৯০ টাকার মুরগির মাংস পিস ১১০ টাকা, বিকালের খাবার ৫০ টাকার মোগলাই ৬০ টাকা, ছয় টাকার পুরি আট টাকা, ৫০ টাকার এক বাটি হালিম ৭০ টাকা। এ ছাড়া রাতের খাবার ২০ টাকার নানরুটি হয়ে গেছে ২৫ টাকা, শাহী পরোটাও একই দাম, ১১০ টাকার এক প্লেট মুরগির ঝাল ফ্রাই ১৩০ টাকা। সেইসঙ্গে হালকা খাবারের দামও বাড়তি। এখন পরোটার দাম বাড়লেও এর আকার ছোট হয়ে গেছে বলে জানান হোটেলে খেতে আসা ভোক্তারা। ভাতের দাম না বাড়লেও বেড়েছে এর ডিম, সবজিসহ মাংস, মাছ আর তরকারির দাম। এ পরিস্থিতিতে ঘরে বাইরে বাড়তি খরচের হিসাব মেলাতে গিয়েই হিমসিম অবস্থা ভোক্তাদের। বলছেন, দাম বাড়ার প্রতিযোগিতায়ও নেমে পড়েছে হোটেল মালিকরা। যে সব হোটেল মালিক দাম বাড়াচ্ছেন না, তারা কমিয়ে দিয়েছেন খাবারের পরিমাণ। হোটেলে খেতে আসা আশরাফ হোসেন ও মনতাজ আলী বলেন, করোনাকালীন সময়ে হোটেল-রেস্তোরাঁগুলো সীমিত আকারে খোলা থাকলেও সেসময় খাবারের মূল্য বাড়েনি। ছাত্র নাহিদুল ইসলাম ও আরাফাত রহমান জানান, লেখাপড়ার পাশাপাশি ছোটখাটো কাজ করে যে আয় করা হয় তাতে সময় সময় হোটেলে খেতে হয়। যেভাবে দাম বেড়েছে তাতে বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে। শুধু যে ভাতের হোটেলেই দাম বেড়েছে তা নয়, বেড়েছে বড় রেস্তোরাঁগুলোতেও।

সর্বশেষ খবর