শিরোনাম
মঙ্গলবার, ৭ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

ঘাস বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ ৩০০ পরিবারের

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

ঘাস বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ ৩০০ পরিবারের

টাঙ্গাইলের চরাঞ্চলের ঘাস বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছে তিন শতাধিক পরিবার। ভূঞাপুরের গোবিন্দাসী, গোপালপুরের নলীন ও কালিহাতী উপজেলার গড়িলাবাড়ী ঘাটে বসে ঘাস বিকিকিনির হাট। চলতি মৌসুমে যমুনায় পানি বেড়ে চরাঞ্চলের নিম্নাঞ্চল পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় গবাদী পশুর খাদ্যের জোগান দিতে ওইসব এলাকার মানুষ ঘাস বিক্রিকে সাময়িক পেশা হিসেবে নিয়েছেন। জানা যায়, ভূঞাপুর উপজেলার গাবসারা ও অর্জুনার বৃহদাংশ, গোপালপুরের হেমনগর ও ঝাওয়াইল ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম এবং কালিহাতীর গোহালিয়াবাড়ী ইউনিয়নের একটি ওয়ার্ডের অধিকাংশ মানুষের মূল পেশা মাছ ধরা ও কৃষি। যমুনা তীরবর্তী এলাকায় বরাবরই গো-খাদ্যের সংকট থাকে। যমুনা প্রমত্ত হলে এ সংকট আরও তীব্র হয়। অসময়ে যমুনায় পানি বেড়ে নিচু এলাকার জমি ও বাড়ির আঙিনা তলিয়ে যাওয়ায় ওইসব এলাকায় গো-খাদ্যের ব্যাপক চাহিদা দেখা দিয়েছে। গো-খাদ্য সংকটের কারণেই মূলত ঘাস বিকিকিনি পেশায় রূপান্তর হয়েছে। বাজারে প্রতি আঁটি কাঁঠাল পাতা ২০-৩০ টাকা, দুর্বাঘাস ৭০-৮০, গর্বাঘাস ৭০-৮০ ও নেপিয়ার প্রকার ভেদে ৩০-৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যমুনার তীরঘেঁষা নলীন বাজারে ঘাস বিক্রি করতে আসা চরবিহারী গ্রামের ছানোয়ার হোসেন, ফজলুল ইসলাম, ফরিদ মিয়া জানান, বর্ষা মৌসুমে ঘাস বিক্রি করেই তাদের সংসার চলছে। তারা বলেন, বর্ষা মৌসুমে চরাঞ্চলে সাধারণত কাজ থাকে না। তখন ঘাস বিক্রি করে দিনে ৭০০-৮০০ টাকা তারা রোজগার করতে পারেন। গোবিন্দাসী বাজারের ঘাস বিক্রেতা আবদুল গফুর, মোতালেব, সমীর, রায়হান জানান, তারা গরিব মানুষ। বর্ষা এলে কাজ না থাকায় ঘাস আর মাছ বিক্রির টাকায় সংসার চলে।

সর্বশেষ খবর