মঙ্গলবার, ৭ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

মাটি খুঁড়তেই ব্রিটিশ আমলের ৯৮ পিস মুদ্রা

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে নির্মাণাধীন বাড়ির কলাম করতে (বেস) মাটি খুঁড়তে গিয়ে মাটির পাতিলে ৯৮ পিস রৌপ্য মুদ্রা পেলেন মাটি কাটার শ্রমিকরা। পরে বাড়ির মালিক ও এলাকাবাসী রূপগঞ্জ থানা পুলিশকে খবর দিলে ওই মুদ্রা উদ্ধার করে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল সকাল ৮টার দিকে  উপজেলার তারাব পৌরসভা এলাকার গন্ধর্বপুর গ্রামে।

গন্ধর্বপুর গ্রামের বাসিন্দা তালাত মাহমুদ নয়ন জানান, একই গ্রামের বাসিন্দা তারা মিয়ার ছেলে আজাদ মিয়া তার উঠানে নতুন পাকাবাড়ি নির্মাণের জন্য মাটি কাটার শ্রমিক দিয়ে কাজ করাচ্ছিলেন। এ সময় ১ ফুট গভীরে কোদাল দিয়ে কোপ দিলে একটি পুরনো মাটির পাত্র ফেটে যায়। স্থানীয় শ্রমিক ওয়াজিবসহ আরও তিনজন ওই মাটির পাত্র ভেঙে দেখতে পান পুরনো মুদ্রা। বাড়ির মালিক ও এলাকাবাসী রূপগঞ্জ থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে মুদ্রাগুলো থানায় নিয়ে যায়। এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক আবদুল করিম মিয়া বলেন, মাটি খুঁড়ে পুরনো মুদ্রা পাওয়া গেছে এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ৯৮ পিস মুদ্রা উদ্ধার করি। এসব মুদ্রার মাঝে ১৯০৬ এবং ১৯১৩ সালের ইন্ডিয়ান রুপি ছিল। যা রৌপ্য মুদ্রা বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এসব উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মাটি খুঁড়লে আরও নতুন মুদ্রা পাওয়া যাবে কি না তা বলা যাচ্ছে না। যেহেতু এটি ব্যক্তিগত বাড়ি সেহেতু আপাতত কিছু বলা যাচ্ছে না।

এদিকে এসব মুদ্রা উদ্ধার করার সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে স্থানীয় প্রবীণ বাসিন্দারা জানান, আজাদ মিয়ার বাড়ির যেখানে এ মুদ্রা পাওয়া গেছে সেখানে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত পুরনো একটি কাঠকৌড়ি ঘর ছিল। যে ঘরে ১৯৪৭ সালের দেশভাগের আগে থেকে মুড়াপাড়ার জমিদার বাবু জগদীশ চন্দ্র ব্যানার্জির নিয়োজিত নায়েব মবুল্লাহ প্রধান বসবাস করতেন। পরবর্তীতে এ বাড়িটি তোতা মিয়া মাতবরের বাড়ি হিসেবেই সবাই চেনে।

স্থানীয় বাসিন্দা হাছান মিয়া বলেন, এ মুদ্রা ব্রিটিশ আমলের হওয়ায় আলোচনায় এসেছে। সে সময়ে এ বাড়ির বসবাসকারী লোকজন বর্তমানের মাটির ব্যাংকের মতো হয়তো ওই মুদ্রাগুলো জমিয়েছিলেন। পরবর্তীতে এর খোঁজ নেননি। তাই এখন তার সন্ধান পাওয়া গেছে।

সর্বশেষ খবর